শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

কমছে রসের হাঁড়ি

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

কমছে রসের হাঁড়ি

শীতের সকালে কয়েক বছর আগেও চোখে পড়ত সাত সকালে খেজুরের রস নিয়ে গাছিরা বাড়ি বাড়ি হাঁক দিচ্ছেন- ‘ও ভাই, রস নেবেন রস।’ মৌসুম শুরু হতেই বাড়ি বাড়ি চলত খেজুরের রস কিংবা রসের পাটালি গুড় দিয়ে মজাদার পিঠাপুলি খাওয়ার আয়োজন। কিন্তু এখন সেই খেজুর রসের হাঁড়িতেই যেন ধস নামতে শুরু করেছে। চিরচেনা অনেক কিছুই যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীতের শুরুতে এবার বিভিন্ন উপজেলার অল্প কিছু খেজুর গাছে রস আহরণের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন গাছিরা। তুলনামূলকভাবে গ্রামগঞ্জে খেজুর গাছ অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। মাঠে আর মেঠোপথের ধারে কিছু গাছ দাঁড়িয়ে আছে কেবলই কালের সাক্ষী হয়ে। কার্যত গ্রামবাংলার খেজুর গাছ আজ অস্তিত্ব সংকটে। কারণ যে হারে খেজুর গাছ নিধন হচ্ছে, সে তুলনায় রোপণ করা হচ্ছে না। সালথা উপজেলার খোয়াড় গ্রামের শাহাজুদ্দীন মাতুব্বর বলেন, কাঁচা রসের পায়েস খাওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারি না। আমাদের নাতি-নাতনিরা তো আর সেই দুধচিতই, পুলি-পায়েস খেতে পায় না। তবুও ছিটেফোঁটা তাদেরও কিছু দিতে হয়। তাই যে কটি খেজুর গাছ আছে তা থেকে রস, গুড়, পিঠাপুলির আয়োজন করা হয়। নাসিম মাহমুদ নামে অরেক ব্যক্তি জানান, গাছের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। একসময় এ উপজেলা খেজুর রসের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। এখন গাছ যেমন কমে গেছে তেমনি কমে গেছে গাছির সংখ্যাও। ফলে প্রকৃতিগত সুস্বাদু সে রস এখন আর নেই। জানা গেছে, ইটের ভাটায় ব্যাপকভাবে খেজুর গাছ ব্যবহার করায় এ গাছ কমে গেছে। এ ছাড়া অনেক সময় ঘরবাড়ি নির্মাণ করার জন্যও খেজুরের গাছ কেটে ফেলা হয়। ফলে দিন দিন খেজুরের গাছ কমে যাচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর