বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

কোনো বাধাই কাজের গতিকে কমাতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পেয়েছি। আমরা এই দেশটাকে উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে চাই। সে লক্ষ্য নিয়েই বর্তমান সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে নানা বাধা আসবে, তবে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করলে কোনো বাধাই কাজের গতিকে শ্লথ করতে পারবে না। নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করে আমরা অসাধ্যকে সাধন করেছি। এতে দেশের মানুষের মাঝে আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে যে, আমরাও পারি।

আসন্ন বড়দিন উপলক্ষে গতকাল গণভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ও ধর্মগুরুদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে  সব মানুষের এদেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। এদেশের মাটি সবার জন্য। এখানে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমরা এই চেতনায় বিশ্বাস করি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে এটাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। তাছাড়া সব ধর্মই মানবতার কথা বলে। তিনি বলেন, অন্যের ধর্মকে শ্রদ্ধা জানাতে না পারলে নিজের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানাব কী করে? শেখ হাসিনা বলেন, দুর্ভাগ্য বিএনপি-জামায়াত যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই মানুষের ওপর অত্যাচার হয়েছে। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় এসে সব ধর্মের মানুষের ওপর আঘাত করা শুরু করে। তখন কেউ রেহাই পায়নি। তাদের বর্বরতা ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ক্রিকেট খেলায় সেঞ্চুরি করলে সবাই খুশি হয়। আমরা বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণে সেঞ্চুরি করেছি। ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছি। আজকে প্রায় ৭৫ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা। সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে, ঘরে ঘরে আলো জ্বলবে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, কাজ করতে গেলে বাধা আসবেই। আমরা সেসব বাধা দূর করে এগিয়ে চলেছি। আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি দেশের মানুষের কল্যাণ করতে। ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের ভাগ্য গড়ার মানসিকতা আমাদের নেই। শেখ হাসিনা বলেন, আমার জীবনে তো চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী তো সাময়িক পদ, মানুষের সেবাই আমার লক্ষ্য। পরে অভ্যাগতদের নিয়ে বড় দিনের কেক কাটেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ধর্মমন্ত্রী পিন্সিপাল মতিউর রহমান, খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন, পেট্রিক ডি রোজারিও ও  নির্মল রোজারিও প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর