বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

উগ্রপন্থিদের রুখতে বনাঞ্চলে নজরদারি

মোস্তফা কাজল

উগ্রপন্থিদের তত্পরতা রুখতে কঠোর নজরদারিতে আসছে দেশের ৭ বনাঞ্চল। পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী সুন্দরবন, লাউয়াছড়া, রেমা, কালেঙ্গা, সাতছড়ি ও মধুপুরের গড় বনাঞ্চলে বিশেষ নজরদারি শুরু করবে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। মানব বসতির আড়ালে নিভৃত বনাঞ্চলে যাতে কেউ জঙ্গি কার্যক্রম চালাতে না পারে সে ব্যাপারে তত্পর থাকবেন গোয়েন্দারা। জানতে চাইলে সত্যতা স্বীকার করে বন সংরক্ষক ড. তপন কুমার দে বলেন, আমরা এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতর থেকে কিছু নির্দেশনা পেয়েছি। 

গত ২২ অক্টোবর রাজধানীর গাবতলীতে পুলিশ চেকপোস্টে ছুরিকাঘাত করে এএসআই ইব্রাহীম মোল্লাকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ হাতেনাতে মাসুদ নামে একজনকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ পুলিশকে জানায়, বড় ধরনের নাশকতা ঘটাতে তারা গোপন প্রশিক্ষণ নেয় গাজীপুরের শালবনে। শালবনে যারা হাতবোমা ছোড়ার প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিল তাদের কোনো একটি গ্রুপ হোসনি দালানে বোমা ছোড়ে। এ ছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর লটমনির পাহাড় থেকে জঙ্গি সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেডের বিপুলসংখ্যক অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ছিল এম-১৬ ও একে-২২ অস্ত্র। পুলিশ সদর দফতরের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বনাঞ্চলে কেবল বনরক্ষক ও তাদের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী নন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও নজরদারি বাড়াতে হবে। কারা বনাঞ্চলে প্রবেশ করছেন সে ব্যাপারে পুলিশও তথ্য রাখবে। প্রয়োজনে বনাঞ্চলের নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যদের সম্পৃক্ত করে বনকে নির্বিঘ্ন রাখতে হবে।

পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান রুখতে হবে। পাশাপাশি পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স অবস্থান। আমরা সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি।

সর্বশেষ খবর