সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

‘নির্দেশ পেলে ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে তদন্ত’

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দখলদার পাকিস্তান বাহিনীর ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ক্ষেত্র প্রস্তুত হলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান। তিনি বলেন, ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে আমরা প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা পেলে ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করা হবে। গতকাল তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়া পলাতক মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের বিধান যুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন-১৯৭৩ এর সংশোধন চেয়ে আবেদন জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা। সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ সদস্য সানাউল হক উপস্থিত ছিলেন। আবদুল হান্নান খান এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পাকিস্তানের ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিভিন্ন মহল থেকে বিচারের যে দাবি উঠেছে তা ন্যায়সঙ্গত। তাদের বিচার হওয়া জরুরি। যেহেতু বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান দুটি ভিন্ন রাষ্ট্র। এ বিষয়ে আমরা চাইলেও কিছু করত পারব না। সরকারের নির্দেশনা পেলেই তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে পারব।

আটজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত : এদিকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের আবদুল আজিজ ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ পলাতক ছয়জনের বিরুদ্ধে ১৯৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে তদন্ত সংস্থা। হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। মামলার বাকি পাঁচ আসামি হচ্ছেন মো. রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু, মো. আবদুল লতিফ, আবু মুসলেম মো. আলী, মো. নাজমুল হুদা ও মো. আবদুর রহিম মিয়া। এ ছাড়া স্থানীয় রাজাকার কমান্ডার মুসলিম লীগ নেতা হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মো. লিয়াকত আলী ও কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আলবদর কমান্ডার আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলীর বিরুদ্ধেও মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও লুটপাটের সাতটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর