মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

লাকসামে ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা

কুমিল্লা প্রতিনিধি

রাত পোহালেই ভোট। সময় যত ঘনিয়ে আসছে লাকসাম পৌরসভায় হামলা-সংঘর্ষ তত বাড়ছে। এ নিয়ে ভোটারের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা। তাদের আশঙ্কা, ঠিকমতো ভোট দিতে পারবেন কিনা, নাকি উপজেলা নির্বাচনের মতো ভোট কেন্দ্র দখল হয়ে যাবে। প্রায় প্রতিদিনই প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। এখানে চারজন মেয়র প্রার্থী থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহনাজ আক্তার ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক আবুল খায়েরের মধ্যে।

সূত্রমতে, ২৬ ডিসেম্বর রাতে পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আমির হোসেনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় বিএনপি মেয়র প্রার্থী শাহনাজ আক্তার আওয়ামী লীগ প্রার্থী অধ্যাপক আবুল খায়েরের কর্মী-সমর্থকদের দায়ী করে রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ২৪ ডিসেম্বর সকালে গাজীমুড়ায় বিএনপির সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিমের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। অবরুদ্ধ করা হয় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মজির আহমেদ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহনাজ আক্তারকে। একই দিন কুমিল্লা নগরীতে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র প্রার্থী শাহনাজ আক্তার লাকসামের ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর প্রত্যাহার দাবি করেন। তিনি বলেন, গণসংযোগ করতে গেলে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শিহাব খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন শামীম, জাহাঙ্গীর আহমেদ ও এমপির পিএস মনিরুল ইসলাম রতনের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। ৬ ডিসেম্বর বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শাহনাজ আক্তারের কর্মী পৌর ছাত্রদলের সভাপতি ওমর ফারুক রাজুকে পিটিয়ে তার মোটরসাইকেল ছিনতাই করা হয়। এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকায় হামলার ঘটনা বাড়ছে বলে স্থানীয়দের মন্তব্য। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক আবুল খায়ের এসব ঘটনায় তার কর্মী-সমর্থকরা জড়িত নয় বলে জানান। এ  বিষয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার রাশেদুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশৃঙ্খলার বিষয়গুলো দেখছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর