শুক্রবার, ১ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

বিশ্ব সভায় উজ্জ্বল তিন বাঙালি নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

এগিয়ে যাচ্ছে বাঙালি নারী। শুধু নারী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে মাথা উঁচু করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে নানা ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের নারীরা। দেশের সীমানা পেরিয়ে তারা পা রাখছে বিশ্ব দরবারে। বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে দেশকে তুলে ধরেছে বিশ্ববাসীর সামনে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রায় তিন উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম রুশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিক এবং রূপা হক। গেল বছর ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এই তিন বাঙালি নারীর বিজয়ের মধ্য দিয়ে কেবল তিনজন নারী নেতৃত্বেরই বিজয় হয়নি, বিজয় হয়েছে গোটা বাঙালির, তথা লাল-সবুজের বাংলাদেশের।

সিলেটী-কন্যা রুশনারা আলী : ১৯৭৫ সালে সিলেটের বিশ্বনাথে জন্ম নেন রুশনারা আলী। সাত বছর বয়সে বাবা-মার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। বড় হন লন্ডন শহরের পূর্ব প্রান্তে টাওয়ার হ্যামলেটে। শিক্ষাজীবনের শুরুটা ছিল মালবেরি স্কুলস অব গার্লস এবং টাওয়ার হ্যামলেট কলেজে। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি অক্সফোর্ডে যান। সেখানে সেন্ট জনস কলেজে একাধারে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেন। এমন একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা- তার পরিবারের জন্যও ছিল প্রথম ঘটনা। একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সহকারী গবেষক হিসেবে রুশনারা আলী তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। এ সময় তিনি মানবাধিকার নিয়েও ব্যাপক কাজ করেন। সেবামূলক কাজে নেতৃত্ব দেন বিভিন্ন দাতব্য সংগঠনেও। মূলধারার রাজনীতিতে তিনি প্রথম ২০০৭ সালের এপ্রিলে লেবার পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য নির্বাচিত হন।

বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ : প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েই যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে চমক দেখান ৩২ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক। যিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি এবং শেখ রেহানার কন্যা। তার বাবা শফিক সিদ্দিক। লেবার পার্টির হয়ে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। টিউলিপের জন্ম পশ্চিম লন্ডনের মেরটন মিচামে। তার শৈশব কেটেছে বাংলাদেশ, ভারত, ব্রনাই, স্পেন এবং সিঙ্গাপুরে। ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নে বসবাস করছেন।

পাবনার মেয়ে রূপা : ব্রিটিশ এমপি রূপা আশা হকের আদি বাড়ি বাংলাদেশের পাবনায়। জন্ম ১৯৭২ সালে ইলিংয়ে। পড়ালেখা কেমব্রিজে, রাজনীতি, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন নিয়ে। কর্ম জীবনে পড়িয়েছেন কিংস্টন ইউনিভার্সিটিতে। এর আগে ডেপুটি মেয়র হিসেবে স্থানীয় সরকারেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ১৯৯১ সালে প্রথম লেবার পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন রূপা। তিনি একাধারে লেখক, মিউজিক ডিজে এবং কলামিস্ট হিসেবে পরিচিত। আর তার ছোট বোন কনি হকও বিবিসির ব্লু পিটার শো উপস্থাপনার কল্যাণে ব্রিটিশদের কাছে খুবই পরিচিত মুখ।

সর্বশেষ খবর