শনিবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
ঋণের সুদ কমলে বিনিয়োগ বাড়বে

আশার আলো দেখতে চান ব্যবসায়ীরা

—আবদুল মাতলুব আহমাদ

আশার আলো দেখতে চান ব্যবসায়ীরা

শিল্প বাণিজ্য নিয়ে ব্যবসায়ীদের সব সময় কমবেশি হয়রানিতে পড়তে হয়। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ওয়ান স্টপসার্ভিসের অভাব, ঘাটে ঘাটে অনিয়ম এই ভোগান্তি তৈরি করে। নতুন বছর নিয়ে ব্যবসায়ীরা আশাবাদী। তারা মনে করেন সব সংকট কাটিয়ে আশার আলো তৈরি হতে পারে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন আমাদের রিপোর্টার রুহুল আমিন রাসেল ও জিন্নাতুন নূর

 

দেশে ব্যাংক ঋণের সুদ-হার এক অঙ্কে বা সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এলে বিনিয়োগ বাড়বে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। তার মতে, সুদ-হার অনেক কমে এসেছে। এর সঙ্গে আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও আগের চেয়ে অনেক কমে এসেছে। তবে ছোটখাটো কিছু জটিলতা আছে। কিন্তু বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ীরা যদি সব কাগজপত্র সঠিকভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দিতে পারেন, তাহলে খুব একটা সমস্যা হয় না বলেও মনে করেন এই শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা। গতকাল বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এখন আগের তুলনায় অনেক কম। কারণ, এখন সরকারের নিয়ম-কানুন ভালো আছে। তবে রাজস্ব খাতে কিছু সমস্যা আছে। তাও সমাধান হয়ে যাচ্ছে। আমাদের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলেছে, তারা আর হয়রানি করবে না। এনবিআরকে ব্যবসায়ীরাও বলেছি, ‘আমরা কর দিতে চাই। কর দিচ্ছি। কর আরও দেব। আমাদের হয়রানি থেকে রেহাই দিতে হবে।’ ২০১৬ সালকে বিনিয়োগের স্বর্ণবছর আখ্যায়িত করে আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, এখন আমরা যেখানেই সমস্যা পাবো, সেখানেই সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করব। দেশে এখন ডিজেলের কোনো সংকট নেই। তার মতে, দেশে এখন গ্যাস নেই। সেটা সরকারও পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে। তবে সরকার যখন এলএনজি জ্বালানির ব্যবস্থা করবে, তখন তা ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যেই পাবেন বলে মনে করেন তিনি। এফবিসিসিআই সভাপতি মনে করেন, মধ্য আয়ের দেশ গড়তে শিল্পায়নের লক্ষ্যে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলায় জেলায় কীভাবে শিল্পায়ন করা যায়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) কীভাবে বিকশিত হতে পারে, ব্যাংক ঋণের সুদ কমানো, অবকাঠামো খাতের সমস্যা দূর করতে সরকার সচেষ্ট। ২০২১ সালে বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতে ৮ শতাংশ মোট দেশজ উত্পাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে জিডিপির ৩৪ শতাংশ বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাত (এসএমই), মহিলা উদ্যোক্তাসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাংকসমূহ কর্তৃক খাতভিত্তিক ঋণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণকরণ এবং সুদ-হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে এনে ঋণ গ্রহণের সুযোগ প্রদান এখন জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্পাদনশীল খাতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করা এবং ঋণ বিতরণে গুণগত মানের প্রতি বেশি নজর দেওয়ার পাশাপাশি মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর