শনিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রস্তাবে সৌদি আরবের সম্মতি

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফরের জন্য আগামী মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে দিনক্ষণ খোঁজা হচ্ছে। রিয়াদে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সফরের প্রস্তাব দেওয়া হলে সৌদি আরব আগ্রহ দেখিয়েছে। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল বিন আহমেদ আল জুবায়ের বলেছেন, বাদশাহ সালমান তাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানাবেন। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। রিয়াদ থেকে পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাহমুদ আলী ৫ জানুয়ারি রিয়াদ পৌঁছালে তাকে কিং খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান সৌদি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ্জাম আবদুল করিম আল গাইন। পরদিন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সব ইস্যুর পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে জাতিসংঘ এবং ওআইসির মাধ্যমে সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকর সহযোগিতার বিষয়ে উভয় পক্ষই একমত হয়। দুই মন্ত্রী বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিনিয়োগ, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও কৃষি বিষয়ে বেশ কয়েকটি স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য সফরে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত আলোচনার প্লাটফর্ম ফরেন অফিস কনসালটেন্সি বা এফওসি স্বাক্ষরের বিষয়েও সম্মত হন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, সৌদি আরবে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের প্রশংসা করে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অভিবাসী এই বাংলাদেশিরা উভয় দেশের অর্থনীতিতেই অবদান রাখছে। তিনি বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার ও নার্সসহ দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিক নেওয়ার বিষয়েও আগ্রহ দেখান। এ জন্য সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করে বাংলাদেশের চিকিত্সাবিষয়ক ডিগ্রিগুলো খতিয়ে দেখার কথাও আলোচনায় আসে বৈঠকে। এ ছাড়া বৈঠক থেকেই সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ভিসা দেওয়ার জন্য ঢাকার সৌদি দূতাবাসকে নির্দেশ দেন। সৌদি আরবে বাংলাদেশের একটি ব্যাংকের শাখা স্থাপনের বিষয়েও সম্মত হন স্বাগতিক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া রিয়াদ, জেদ্দা ও দাম্মামে বসবাসরত বাংলাদেশির সন্তানদের লেখাপড়ায় স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য জমির ব্যবস্থা করার অনুরোধ করা হয়। জবাবে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি সে দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখছে বলে উল্লেখ করেন। বৈঠকে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের উপমন্ত্রী ছাড়াও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ, ডেপুটি চিফ অব মিশন নজরুল ইসলাম ও জেদ্দায় নিযুক্ত কনসাল জেনারেল শহিদুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর