বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

কারও কাছে ভিক্ষা চাইতে যাব না : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সরকার গ্রামের মানুষের উন্নতির জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে।

আমরা কৃষকদের সব রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য, দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা। যে এলাকায় যে ধরনের পণ্য হয়, সে এলাকায় সে ধরনের প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে তুলতে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা দেশকে এমনভাবে গড়তে চাই যাতে কোনো জিনিস বাইরে থেকে আমদানি করতে না হয়। আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাইতে যাবও না। নিজস্ব শ্রম ও মেধা দিয়ে এগিয়ে যাবও। অর্থনীতির যে উন্নয়ন করা হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে।

গতকাল সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দুগ্ধ উৎপাদনে বাংলাদেশকে স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে ৫ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সরকারের প্রাণিসম্পদ বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মাকসুদুল হাসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক, মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ব্যাংক ও ফিন্যানশিয়াল ইনস্টিটিউশনের সচিব ড. এম আসলাম আলম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। এখন আমাদের লক্ষ্য পুষ্টি নিশ্চিত করা। দুগ্ধ উৎপাদনকারীদের মধ্যে ৫ শতাংশ হার সুদে যে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ শুরু হলো এতে শুধু পুষ্টিই বাড়াবে না সঙ্গে সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রারও সাশ্রয় হবে। তিনি বলেন, আমরা কৃষকদের সব রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি। একটা সময় বিশ্বব্যাংক আমাদের বলেছিল— কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়া যাবে না। কারণ তারা কোনো জামানত রাখতে পারত না। কিন্তু আমরা বলেছি এ ভর্তুকি নিজস্ব অর্থায়নে দেব এবং তা দিয়েছি। প্রথমবার আমরা সরকারে এসে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে বিনা জামানতে অল্প সুদে বর্গা চাষিদের জন্য কৃষিঋণ দিতে শুরু করি। আমরা কর্মসংস্থান ব্যাংক তৈরি করি। যেন যুবসমাজ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। তাদেরও বিনা জামানতে ঋণ দেওয়া শুরু করি। এক ইঞ্চি জমি যেন অনাবাদি না থাকে সে জন্য আমরা নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি। শেখ হাসিনা বলেন, গরু-মহিষের দুধ উৎপাদনের পাশাপাশি, আমাদের জনস্বাস্থ্যের জন্য এ দুধ নিরাপদ কিনা সে বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ঝুঁকি, জীবাণু সংক্রমণ ও ক্ষতিকর উপাদানের ব্যাপারে দুগ্ধ চাষিদের সচেতন করে তুলতে হবে। তিনি বলেন, দেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বড় আকারে ডেইরি ফার্ম গড়ে ওঠেনি। তাই ক্ষুদ্র চাষিদের শ্রম কাজে লাগিয়ে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রাণিসম্পদ প্রজাতি উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, অনেক মুসলিম দেশ আছে যারা অন্যান্য দেশ থেকে হালাল মাংস কেনে। বাংলাদেশ তার বিপুল পরিমাণ চরাঞ্চল ব্যবহার করে গরু-মহিষের খামার তৈরি করে এ মাংস রপ্তানির ক্ষেত্রটিকে কাজে লাগাতে পারে। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, দুগ্ধ খামারিদের মধ্যে ৫ শতাংশ সুদে ২০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করবে ১৩টি ব্যাংক। একজন খামারিকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর