শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

হাওরে পুকুরে মাছ পাড়ে সবজি চাষ

চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ, হবিগঞ্জ

হাওরে পুকুরে মাছ পাড়ে সবজি চাষ

হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা হাওর এলাকা নামেই পরিচিত। কৃষকরা একবার ধান (বোরো ধান) চাষ করেন। বিকল্প ফসল চাষ করা কঠিন। এ কঠিন কাজকে কীভাবে সহজ করা যায় এর উপায় বের করতে এলাকার উদ্যমী যুবক খালেদ হোসেন চৌধুরী চেষ্টা শুরু করেন। মত্স্য বিভাগের পরামর্শ নেন। সেই অনুযায়ী তিনি ২০১৪ সালে শিবপাশার হাওর এলাকায় পারিবারিক ৩২ একর জমিতে মাছ চাষ করতে পুকুর খনন করেন।  কী করে এখানে মাছ চাষ হবে, এ চিন্তা তার মনে তাড়া দিচ্ছিল। একপর্যায়ে সাহস করে তিনি খননকৃত ১৪টি পুকুরে চিতল, রুই, কাতলা, মৃগেল, কার্পুসহ নানা প্রজাতির মাছ চাষ শুরু করলেন। এরপর তিনি ভাবলেন পুকুর পাড়ে একই সঙ্গে সবজি চাষ করলে কেমন হয়? এ ভাবনার পরেই পুকুর পাড়ে শুরু করলেন সবজি চাষ। কিছু দিন পর সফলতা আসতে শুরু করে। পুকুরে মাছ চাষ হচ্ছে। পাড়ে চাষ হচ্ছে সবজি। মৌসুম অনুযায়ী সবজি ও বারমাসী ফল চাষে সফলতা এনে দেয় খালেদ হোসেন চৌধুরীকে। এখন খালেদের ফার্মে আশপাশের গ্রামের প্রায় ৩০-৩৫ জন বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। পুকুরে নানা প্রজাতির মাছ আর পুকুর পাড়ে বিষমুক্ত সবজি চাষের মাধ্যমে হাওরের বুকে নির্জন এই স্থানকে মাদানী পল্লী নামে নামকরণ করেছেন এলাকাবাসী। বিকালে অনেকেই তার এই মত্স্য খামারে ঘুরতে আসছেন। সমন্বিত মত্স্য খামার পরিদর্শনকালে খালেদ হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। আলাপকালে তিনি বলেন, খামারের নামকরণ করা হয়েছে ‘এমএজি এগ্রো ফার্ম’। এর পাশেই আরও ১৭ একর জমি রয়েছে। এসব জমিতেও পুকুর খনন করা হবে। একইভাবে মাছ ও সবজির সঙ্গে ফলের চাষ করা হবে। তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, এখানে গরু পালন করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে বছরে অর্ধকোটি টাকা লাভ করছেন খালেদ। এসব সফলতার জন্য ২০১৫ সালের মত্স্য সপ্তাহে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খালেদ হোসেন চৌধুরীকে প্রথম পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। হবিগঞ্জ জেলা মত্স্য কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, খালেদ হোসেন চৌধুরী বেকার যুবকদের অনুকরণীয় হয়ে উঠেছেন। আজমিরীগঞ্জ উপজেলা মত্স্য কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, খালেদ অসাধ্য সাধন করেছেন।

সর্বশেষ খবর