শনিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

আড্ডা সেলফি কেনাকাটায় বাণিজ্যমেলা জমজমাট

নিজস্ব প্রতিবেদক

আড্ডা সেলফি কেনাকাটায় বাণিজ্যমেলা জমজমাট

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে গতকাল বাণিজ্যমেলায় জমজমাট ছিল কেনাকাটা থেকে শুরু করে আড্ডা আর সেলফি তোলার প্রতিযোগিতা। দিনভর লাখো দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় সামলে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারী-পুরুষ, ক্রেতা-বিক্রেতা। সকালে মেলা প্রাঙ্গণে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর চিকিত্সা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ডা. মুনমুন দাস বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নতুন কোনো পণ্য কিনতেই মূলত মেলায় এসেছি। বাসার কিছু তৈজসপত্র কিনেছি। নতুন নতুন প্লাস্টিক পণ্য সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।

মেলায় দেখা যায়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন প্যাভিলিয়নে ছোট ছোট ৩০টি স্টলে বিচিত্র সব পাটজাত পণ্য। এসব স্টলে পাটের তৈরি মানিব্যাগ পুরুষ ক্রেতাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ৫০০ থেকে এক হাজার টাকার এই মানিব্যাগ মেয়েরাও কিনছিলেন তাদের পুরুষ সঙ্গীকে উপহার হিসেবে দেওয়ার জন্য। নানান কারুকাজে সজ্জিত মেয়েদের ব্যাগ মিলেছে ৩০০ থেকে হাজার টাকার মধ্যে। এ ছাড়াও পাটের আরামদায়ক স্যান্ডেল পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২০০ টাকায়। বেঙ্গল প্লাস্টিকের প্যাভিলিয়নের একজন বিক্রয় কর্মী জানান, মেলায় বেঙ্গল প্লাস্টিক বেশকিছু নতুন পণ্য বাজারজাত শুরু করেছে। এর মধ্যে পানি বিশুদ্ধকরণ ফিল্টারটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সব মিলিয়ে গতকালের মেলায় জম্পেস আড্ডা আর কেনাকাটায় ব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন প্রায় দুই লাখ ক্রেতা-দর্শনার্থী। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অন্য দিনের চেয়ে দর্শনার্থী উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। ফলে গতকালের মেলায় দুই লাখের বেশি ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছেন বলে মনে করেন ইপিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, এবারের বাণিজ্যমেলায় ১৩টি ক্যাটাগরিতে মোট ৫৫৩টি স্টল আর ৯৪টি প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১টি দেশের নামিদামি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মেলায় নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস উপস্থাপন করতে প্রতি বছরের মতো এবারও আছে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। আছে দুটি মা ও শিশু কেন্দ্র এবং একটি প্রাথমিক চিকিত্সা কেন্দ্র। আছে মসজিদ, এটিএম বুথ, পোস্ট অফিস, প্রতিবন্ধীদের জন্য অটিজম সেন্টার, শিশুপার্ক, ইকোপার্ক, ই-শপ, ই-পার্ক ও পর্যাপ্ত টয়লেট। মেলা প্রাঙ্গণে ২৫টি খাবার স্টল ও পাঁচটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এ ছাড়াও আছে ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ সবার জন্য উন্মুক্ত। তিনটি প্রবেশ পথ দিয়ে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা। তবে একটি প্রবেশ পথ শুধু ভিআইপি দর্শনার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। মেলায় জনপ্রতি প্রবেশ টিকিটের মূল্য ৩০ টাকা। শিশুদের জন্য প্রবেশ টিকিটের মূল্য ২০ টাকা। যেসব শিশুর বয়স দুই বছরের কম, তাদের জন্য কোনো টিকিটের প্রয়োজন হবে না।

সর্বশেষ খবর