সোমবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

শাহজালালে মুখ থুবড়ে পড়ে জ্বলছিল উড়োজাহাজটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের দক্ষিণ পাশে মুখ থুবড়ে পড়েছিল একটি উড়োজাহাজ। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। যাত্রীদের আর্তচিৎকার আর ছোটাছুটিতে বিরাজ করছিল ভীতিকর পরিবেশ। তারপর বিমানবন্দর ফায়ার সার্ভিসের অত্যাধুনিক পানিবাহী গাড়ি আর অ্যাম্বুলেন্স সাইরেন বাজিয়ে ছুটতে শুরু করল। ছুটছিল সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল। পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরাও পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে।

ততক্ষণে মেডিকেল টিম কাজ শুরু করে দেয়। বাদ যায় না আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের লাশবাহী পিকআপও। প্রস্তুত হয় তথ্য সরবরাহ কেন্দ্র। এভাবে সমন্বিত উদ্যোগে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা চলে। পুরো এলাকাটি ঘিরে রাখে নিরাপত্তা রক্ষীরা। আহতদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তথ্য কেন্দ্র থেকে মাইকে আহত-নিহতদের খবর জানানো হয়। আধা ঘণ্টার মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘোষণা করা হয় ১০ যাত্রী নিহত হওয়ার কথা। আরও বলা হয়, আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে কয়েকগুণ বেশিসংখ্যক যাত্রীকে। তখনই বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার নামে ঘটনাস্থলের কাছে। আহত দুই যাত্রীকে নিয়ে আবার উড়ে যায়। এ ছিল একটি পূর্ণাঙ্গ মহড়া। দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিমানবন্দর রানওয়ের দক্ষিণ পাশে গতকাল সকালে এভাবেই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল। ঘণ্টাব্যাপী মহড়ায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মীরা অংশ নেন। মহড়ায় দুর্ঘটনাকবলিত একটি বিমানে আগুন লাগার পর যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তায় করণীয় নানা কৌশল প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া ফায়ার ক্রুদের দক্ষতা, দুর্যোগে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির উপযোগিতাসহ নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। সকালের এ মহড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। আরও ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম সানাউল হকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ খবর