বুধবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

পাখির অভয়ারণ্য ভাটিনা গ্রাম

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

পাখির অভয়ারণ্য ভাটিনা গ্রাম

ভাটিনা দিনাজপুরের ছোট্ট একটি গ্রাম। এ গ্রামের প্রবেশপথের পাশে পুকুরপাড়ের বাঁশঝাড়ের মাথায়  কয়েকশ বক, পানকৌড়ি, শালিকের কলকাকলি। পাখির মধ্যে কোনোটি উড়ছে, কোনোটি ডাকছে। পুকুরে পাখিকে মাছ শিকার করতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যাবে। এসব পাখি উড়ে অন্য কোথাও যায় না। এ গ্রামের মানুষও পশুপাখিপ্রেমিক। এখানে কেউ কোনো পাখি শিকার করেও না। গাছগাছালিও বেশি। পরিবেশ ও নিজেদের স্বার্থেই পাখিদের রক্ষা করা প্রয়োজন বলে এলাকার মানুষ মনে করে। এভাবেই পাখির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হওয়ায় উত্তর শেখপুরা ইউনিয়নের এ গ্রামটি কয়েক হাজার পাখির স্থায়ী আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। এখানে সব সময় পাখি থাকে। তবে বর্ষা মৌসুমে ২৫-৩০ হাজার বর্ষালি পাখি আস্তানা গাড়ে। তখন মুখরিত হতে থাকে পাখির কলকাকলিতে। অনবরত শোনা যায় ডাহুকের ডাক। এ সময় গ্রামবাংলায় কেউ এসে বেড়িয়ে গেলে কখনো ভুলতে পারবে না। তবে এটা প্রাকৃতিকভাবেই গড়ে ওঠেনি। এ অবস্থা কীভাবে সম্ভব হলো তা খুঁজে দেখতে গেলে সবার আগে বেরিয়ে আসবে আবুল হাসেমের নামটি। উত্তর ভাটিনা গ্রামের বাসিন্দা আবুল হাসেম একজন সংগঠক, সমাজসেবী, পরিবেশবাদী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম জানান, পরিবেশ উন্নয়নে পাখিদের রক্ষা, শিয়াল, বিড়াল, গোসাপ, বেজি প্রভৃতি প্রাণী সংরক্ষণে এলাকার লোকজনকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা চালান। আর এ কারণে এখন উত্তর শেখপুরা এসব প্রাণী ও পাখীর নিরাপদ আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর