রবিবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

নৌরুটে খননকাজ ব্যাহত

১১টির মধ্যে ৮টি ড্রেজারে যান্ত্রিক ত্রুটি

বাগেরহাট প্রতিনিধি

নৌরুটে খননকাজ ব্যাহত

যান্ত্রিক ত্রুটিতে বন্ধ হয়ে আছে বাগেরহাটের মংলা-ঘষিয়াখালী নৌরুট খননকাজে নিয়োজিত ড্রেজার

বাগেরহাটের মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌরুট খননকাজে নিয়োজিত ১১টির মধ্যে ৮টি ড্রেজারের খননকাজ যান্ত্রিক ত্রুটিতে বন্ধ রয়েছে। বাকি ৪টি দিয়ে ঢিমেতালে খুঁড়িয়ে-খুঁড়িয়ে চলছে খননকাজ। এদিকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক ও স্থানীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর (ড্রেজার) বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা ও প্রকল্প এলাকায় অবস্থান করে খননের বিষয়ে নজরদারি না করার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্বের বৃহত্তর ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন রক্ষা ও মংলা বন্দর সচলের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক এ নৌ চ্যানেলটি খননে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে বর্তমানে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে ড্রেজিং কার্যক্রম। এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, খননকাজে দায়িত্বরত বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা তাদের কর্মস্থলে না থেকে বেশির ভাগ সময় থাকেন ঢাকায়। ফলে দেখভালের অভাবে প্রকল্পের কাজে এ ধীরগতি। মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌরুট খননকাজ সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে চ্যানেল খননকাজে বিআইডব্লিউটিএ’র ৬টি ও বেসরকারি সংস্থার ৫টি ড্রেজার খননকাজে নিয়োজিত রয়েছে। এর মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে খান গ্রুপের ২টি, এসএস রহমান কোং-এর ২টি ও চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের ১টি— এ ৫টিই বন্ধ রয়েছে। আর খোদ বিআইডব্লিউটিএ’র বন্ধ রয়েছে ৩টি ড্রেজার। সরকার ২০১৪ সালের ১৫ জুন মৃত এ চ্যানেলটি সচলের জন্য খননকাজ শুরু করে। ২০১৫ সালের ১৫ জুন চ্যানেলটি পুরোপুরি খনন শেষে পরিপূর্ণভাবে নৌযান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। প্রায় ২৪০ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প ২০১৪ সালের জুন থেকে ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চ্যানেল থেকে প্রায় এক কোটি কিউবিক ঘন মিটার পলিমাটি অপসারণ করেছে। শুরুতে খননকাজে যে গতি ছিল বর্তমানে তা অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র তত্ত্বাবাধয়ক প্রকৌশলী (ড্রেজিং) ফরহাদ উজ জামান বলেন, খননকাজ তো কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র ৩টিসহ বেসরকারি কয়েকটি ড্রেজার বন্ধ রয়েছে। মূলত দীর্ঘদিন লোনা পানিতে কাজ করার কারণে ড্রেজারগুলোর বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দুর্বল ও অকেজো হয়ে পড়েছে। এগুলোয় দেশীয় পার্টস লাগালে তা আবারও দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই বিদেশ থেকে ভালো পার্টস এনে লাগানোর জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এ ছাড়া তিনি অধিকাংশ সময়ই ড্রেজিং এলাকায় অবস্থান না করে ঢাকায় অবস্থান করায় প্রকল্পের কার্যক্রম ব্যাহতসহ ঠিকঠাকমতো তদারকি করছেন না— প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টেন্ডারসহ বিভিন্ন কাজের কারণে ঢাকায় যেতে হয়। তার পরও সেখানে আমাদের লোকজন থাকে তাতে কাজের কোনো ক্ষতি হয় না বলে দাবি করেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর