নাটোরের বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক আবু রায়হান মোল্লার (৪৮) হাত-পা বাঁধা ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে বাহিমালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিশের ধারণা।
নিহত রায়হান পার্শ্ববর্তী কামারদহ গ্রামের মৃত জাহের আলী মোল্লার ছেলে এবং দুটি হত্যা মামলার আসামি। তিনি দীর্ঘদিন যাবত্ সপরিবারে বাহিমালী গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ৯ নম্বর ওয়ার্ড নির্বাচনে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি বাহিমালী গ্রামের মশগুল আজাদের ছেলে জাহিদুল ইসলামকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস এমপি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্সী শাহাবুদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গতকাল ভোরে স্থানীয়রা বাহিমালী হিন্দুপাড়া মন্দিরের পাশের একটি আমগাছে আবু রায়হানের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। দুর্বৃত্তরা রাতের কোনো এক সময় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে যায়। নিহতের শ্বশুর কছিমউদ্দিন জানান, রায়হান এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাহিদুলের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই দয়াল কুমার ব্যানার্জি জানান, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তিনি গত বছরের ৬ এপ্রিল বাহিমালী গ্রামের কৃষক আবদুল মোতালেব শেখকে গুলি করে হত্যা ও প্রায় ১০ বছর আগে কলেজ ছাত্র আবদুল্লাহ হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় জামিনে থাকলেও মোতালেব হত্যা মামলায় তিনি জামিন নেননি।