শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

স্বজনের খোঁজে বাংলাদেশে ডাচ সুলতানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

স্বজনের খোঁজে বাংলাদেশে ডাচ সুলতানা

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী এলাকার বাসিন্দা  সুলতানা। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত ছিলেন দাদি রহিমা খাতুনের সঙ্গে। দাদি ১৯৭৯ সালে সুলতানাকে তুলে দেন নেদারল্যান্ডসের এক ডাচ্ দম্পতির হাতে। সেখানে বেড়ে ওঠা সুলতানার নাম এখন ‘সুলতানা ভ্যান ডি লিস্ট’। মুসলেম আলী নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে থিয়া ও ক্রিস দম্পতির কাছে সুলতানাকে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে পরিবারের আপন মেয়ের মতোই বড় হন তিনি। পড়ালেখা শেষ করে বিয়ে করেছেন ডিজাইনার ইউরি জেকবকে। আছে ১০ বছরের এক পুত্রসন্তান। ৩৭ বছর পর সেই সুলতানা চট্টগ্রামে আসেন নিজের স্বজনের খোঁজে।  গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সুলতানা তার আবেগ-অনুভূতি ও প্রিয়জনের কথা বলেন। এ সময় ছিলেন তার স্বামী ইউরি জেকবস ও ছেলে নোয়া আবেদ নাবিলা জেকবস। সুলতানা নেদারল্যান্ডসে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। ১১ ফেব্রুয়ারি নেদারল্যান্ডসের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করার কথা তার। সুলতানা বলেন, ‘বাবা-মা অথবা আত্মীয়স্বজন এমনকি বাড়ির নাম-ঠিকানাও জানি না আমি। কেবল এটুকু মনে আছে, দোহাজারী রেলস্টেশন ও বাজারের কথা। যেখানে একটি দোকানে খাবারের জন্য মানুষ ভিড় করত। ছোটকালের কোনো স্মৃতি মনে নেই। তারপরও স্বজনদের ফিরে পাওয়ার টানে বাংলাদেশে এসেছি। তাদের খুঁজে বের করবই।’ তিনি বলেন, নিজের জন্মভূমিতে ফিরতে প্রবল ইচ্ছা আমার। কিন্তু যোগাযোগের কোনো মাধ্যম পাচ্ছিলাম না। পরে নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক এনজিও স্নোবের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসি। সংগঠনের সাবেক এক কর্মকর্তার সহযোগিতায় চট্টগ্রামে আসি।

সর্বশেষ খবর