শিরোনাম
শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাইরের কেউ যাতে গণমাধ্যমে হাত দিতে না পারে : রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাইরের কেউ যাতে গণমাধ্যমে হাত দিতে না পারে : রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দি ডেইলী স্টার পত্রিকার ২৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে Genoide They Wrote বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন —বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাইরের কেউ যাতে গণমাধ্যমের কাজে হস্তক্ষেপ করতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে বলেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, সেলফ সেন্সরশিপকে কাজে লাগাতে হবে। সব গণমাধ্যমকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে জাতির উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে। তিনি গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ইংরেজি দৈনিক ‘ডেইলি স্টার’-এর ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে সজাগ থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতা মানে যা ইচ্ছা তা করা বা যথেচ্ছাচার নয়। একজনের স্বাধীনতার জন্য অন্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অধিকার কেউ কাউকে দেয়নি। তাই দায়িত্ব পালনকালে আপনাদের সচেতন হতে হবে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার সৎসাহসই পারে একজন সাংবাদিককে পেশাগত উত্কর্ষের শীর্ষে নিয়ে যেতে। আপনারা সরকারের, এমনকি আমার নিজেরও সমালোচনা করুন। তবে সে সমালোচনা যেন হয় তথ্যভিত্তিক। কোনোভাবেই যেন একপেশে না হয়। সংবাদপত্রের ওপর যে কোনো হামলা গণতন্ত্রের ওপর মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। আমরা চাই, সংবাদপত্র দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করবে। আমি আশা করি, সব গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ করে দেশের গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এ উন্নয়নের ধারা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। বাংলাদেশ এ ঐতিহ্য রক্ষায় কোনো ছাড় দেবে না। বাংলাদেশে সব ধর্মের লোক স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে। এখানে প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব সর্বজনীনভাবে পালিত হয়। আমরা এ ঐতিহ্য রক্ষায় কখনই কাউকে ছাড় দিতে পারি না। সন্ত্রাসবাদকে একটি সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ এখন আর কোনো দেশের একক ভূখণ্ডের সীমানার মধ্যে সীমিত নেই। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। বিশ্বায়নের এ যুগে প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদসহ সব আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ অপরাধ ও স্থানীয় পর্যায়ের সব অপরাধ উদ্ঘাটন ও প্রতিরোধে গণমাধ্যমকে সর্বশেষ প্রযুক্তিনির্ভর হতে হবে। ধর্মকে ব্যবহার করে কেউ যাতে অশুভ কিছু করতে না পারে, সে ব্যাপারেও গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান, মিডিয়া ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের চেয়ারপারসন রোকিয়া আফজাল রহমান, ভারতের বিশিষ্ট সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার, ন্যাশনাল মাল্টিমিডিয়া গ্রুপের সম্পাদকীয় ও ব্যবস্থাপনা বোর্ডের প্রধান উপদেষ্টা সুথিচাই সায়ে ইউন, কস্তুরি অ্যান্ড সন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং ভারতের হিন্দু প্রকাশনা গ্রুপের প্রকাশক এন রাম এবং ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম বক্তব্য দেন।

সর্বশেষ খবর