শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় শুরু হলো ঢাকা আর্ট সামিট

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকলায় শুরু হলো ঢাকা আর্ট সামিট

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে গতকাল ঢাকা আর্ট সামিটে দর্শনার্থীরা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশের শিল্পকলাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমাদৃত করার প্রয়াসে শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালায় শুরু হয়েছে তৃতীয় ঢাকা আর্ট সামিট ২০১৬। প্রধান অতিথি থেকে গতকাল সকালে বর্ণাঢ্য এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

উদ্বোধনী আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি নাদিয়া সামদানি। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সামিটের চেয়ারম্যান ফারুক সোবহান। সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চেতনার উন্নয়ন প্রয়োজন। দেশের সাংস্কৃতিক ধারা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বে বিস্তৃত করাটাও জরুরি। এ সামিট বিশ্বের সঙ্গে সেই যোগাযোগ গড়ে তুলছে সন্দেহ নেই। এ আয়োজন এশীয় চারুকলার মধ্যে সবচেয়ে বড় হওয়ায় তা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি।

রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশের চিত্রকলার ইতিহাস বহু পুরনো। শিল্পমনা জাতি হিসেবে বাংলাদেশের সুনাম রয়েছে। ঢাকা আর্ট সামিট শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আয়োজন। এ সামিটকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করতে পারি। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, রাজনৈতিকভাবে সব সময় অশুভ শক্তি মোকাবিলা করা যায় না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ধারা এ অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে পারে। সে কারণেই এ ধরনের আন্তর্জাতিক মানের সাংস্কৃতিক আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া জরুরি।

এশীয় চিত্রকলার বেশ কয়েকজন নামিদামি শিল্পী ও গ্যালারি কিউরেটরের পাশাপাশি বাংলাদেশের ১৩ জন শিল্পীর কাজ প্রদর্শিত হচ্ছে। শিল্পীরা হলেন অসিত মিত্র, অতীশ সাহা, ফারজানা আহমেদ ঊর্মি, গাজী নাফিস আহমেদ, পলাশ ভট্টাচার্য, রফিকুল শুভ, রাসেল চৌধুরী, রূপম রায়, সালমা আবেদীন পৃথ্বী, শামসুল আলম হেলাল, শিমূল সাহা, সুমন আহমেদ ও জিহান করিম। তাদের মধ্য থেকে একজনকে সামদানি আর্ট অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হবে। বাংলাদেশি স্থপতিদের বিশ্বের দরবারে পরিচিত করতে তাদের নিয়ে একটি প্রদর্শনী থাকছে সামিটের আলাদা একটি কর্নারে। যেখানে বাংলাদেশের ১৭ স্থপতির করা বিভিন্ন ডিজাইন প্রদর্শন করা হচ্ছে। বেঙ্গল গ্যালারি, গ্যালারি কসমস, গ্যালারি কায়া, গ্যালারি চিত্রকসহ দেশের বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য গ্যালারি অংশ নিচ্ছে এ আয়োজনে। একাডেমির ৬ নম্বর গ্যালারি সাজানো হয়েছে এসব গ্যালারির বাছাই করা বাংলাদেশি শিল্পীদের শিল্পকর্ম দিয়ে।

প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে প্রদর্শনীস্থল উন্মুক্ত থাকবে রাত ১০টা পর্যন্ত। ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে চার দিনের এ প্রদর্শনী।

মাসব্যাপী মসলিন উৎসব : সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়, দৃক্ ও জাতীয় জাদুঘরের যৌথ আয়োজনে গতকাল বিকালে জাতীয় জাদুঘরে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী মসলিন উৎসব। প্রধান অতিথি থেকে উৎসবের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর