শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

বরেন্দ্র অঞ্চলে মিষ্টি আঙুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বরেন্দ্র অঞ্চলে মিষ্টি আঙুর

বরেন্দ্র অঞ্চলের লাল মাটিতে ফসল চাষ ছিল দুষ্কর। এক সময় বিঘার পর বিঘা জমি পতিত থাকত। এখন সেই লাল মাটিতে চাষ হচ্ছে মিষ্টি আঙুর। বরেন্দ্রের মাটিতে আঙুর চাষ করে সাফল্যের মুখ দেখছেন নওগাঁ সদর উপজেলার বরুণকান্দি গ্রামের সালাহউদ্দিন উজ্জ্বল। তিন বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে তিনি অস্ট্রেলিয়ার মিষ্টি আঙুরের চাষ করেন। তার উৎপাদিত আঙুর মিষ্টি ও সুস্বাদু। ২০১২ সালের অক্টোবর-নভেম্বর মাস থেকে বাণিজ্যিকভাবে তিনি আঙুর চাষ শুরু করেন। আঙুর চাষি সালাহউদ্দিন জানান, বরুণকান্দিতে তিন বিঘা জমি ইজারা নিয়ে তিনি ৩৫০টি আঙুর চারা রোপণ করেছেন। বর্তমানে তা সবুজ হাসিতে ভরে উঠেছে। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিমসন সিডলেস এবং মেনেনডি সিডলেস জাতের আঙুর চাষ। ২০১২ সালের মে-জুনে প্রথম মৌসুমেই পরীক্ষামূলক চাষে ৮ থেকে ১০টি গাছে ফল আসে। অক্টোবর-নভেম্বর মৌসুমে ফল আসে অর্ধ শতাধিক গাছে। দুই মৌসুম শেষে দেখা গেছে উৎপাদিত আঙুর মিষ্টি এবং সুস্বাদু। এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে তিন বছর। আঙুরের ৪টি মৌসুম। পরিপূর্ণ হয়েছে গাছের বয়স। এখন ফল আসতে শুরু করেছে অধিকাংশ গাছে। এবারে ৩৫০টি গাছের মধ্যে ১৭০-১৮০টি গাছে থোকায় থোকায় ফল এসেছে। তিনি আশা করছেন, এই মৌসুমে প্রতিটি গাছ থেকে কমপক্ষে ২০ কেজি করে আঙুর উৎপাদন হবে। যা থেকে খরচ বাদে আয় হবে কয়েক লাখ টাকা। নওগাঁ কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক এস এম নুরুজ্জামান মণ্ডল জানান, নওগাঁর মাটি আঙুর চাষের উপযোগী। তিন বছর ধরে সালাহউদ্দিন পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দিন জানান, বরেন্দ্র অঞ্চলে আঙুর চাষের সম্ভাবনা আছে। তবে সবার আগে সফলতা পেতে ভালো জাত চিনতে হবে।

সর্বশেষ খবর