শিরোনাম
সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

ভোগান্তি কমাতে উপজেলায় এনআইডি সংশোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের কার্যালয়ে আজ থেকে আর জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন বা স্থানান্তরের আবেদন নেওয়া হবে না। এরপর থেকে নতুন ভোটার হওয়া, সংশোধন, স্থানান্তর বা আঙ্গুলের ছাপ হালনাগাদের সব কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন কার্যালয়ে যেতে হবে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ জানিয়েছে, কেবল হারানো পরিচয়পত্রের ডুপ্লিকেট সংগ্রহের ক্ষেত্রে ‘জরুরি  সেবা’র আবেদনগুলোই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে করার সুযোগ থাকছে। এ বিষয়ে গত বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। এনআইডি উইং বলছে, এসব সেবায় ফি আরোপের পর গত সেপ্টেম্বর থেকে চার লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে। উপজেলা পর্যায়ের লাখ লাখ জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধন আটকে আছে। এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) সৈয়দ মুহাম্মদ মুসা বলেন, ঢাকার ১৫টি থানা নির্বাচন অফিসসহ দেশের ৫১৪টি উপজেলা ও থানা নির্বাচন অফিসে নাগরিকরা জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত  সেবা পাবেন। ‘সেবা বিকেন্দ্রীকরণের’ এই উদ্যোগে নাগরিক ভোগান্তি কমবে। বর্তমানে দেশে প্রায় ১০ কোটি  ভোটার রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত এক কোটির হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র নেই।

সেবা পাওয়া নিয়ে সংশয় : হঠাৎ করে ঢাকার এনআইডি অফিসের সেবা উপজেলা পর্যায়ে যাওয়া নিয়ে সাধারণ নাগরিকের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে। গতকাল আগারগাঁও অফিসে সেবা নিতে আসা অনেকেই এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, উপজেলা পর্যায়ে কর্মকর্তাদের দক্ষতার অভাব রয়েছে। তারা সাধারণ নাগরিকদের পাত্তা দিতে চায় না। তাই উপজেলা পর্যায়ে সুষ্ঠুভাবে কতটুকু সেবা পাওয়া যাবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশও করেন সজীব আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। ইসির কর্মকর্তারা বলেন, এখনো স্থানীয় পর্যায়ে এনআইডি সংক্রান্ত সেবার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। তাই এখনো প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন সেবা নিতে। কিন্তু হঠাৎ কোনো প্রচারণা ছাড়াই এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কঠিন হবে বলে মনে করেন খোদ ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা। এদিকে উপজেলা পর্যায়ে ‘তথ্য পরিবর্তনের’ আবেদন নিয়েও বর্তমানে ইসিতে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। মাসের পর মাস অপেক্ষার পরও সেখানকার নাগরিকরা সংশোধিত এনআইডি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের ‘অনিষ্পন্ন’ আবেদনের বিষয়গুলো সম্প্রতি কমিশনের সভায় তুলেছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মো. আবদুল মোবারক। সভায় এ নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে সেগুলো নিষ্পত্তির জন্য তার পক্ষ থেকে ‘অনানুষ্ঠানিক’ নোট দেওয়া হয়েছে বলেও কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর