বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

বিনামূল্যে ওয়েবসাইট পাবে তরুণ-তরুণীরা

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

দেশে শিক্ষিত ও বেকার তরুণ-তরুণীদের তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আয়ের পথ তৈরি করতে পাঁচটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। এ ধরনের একটি কর্মসূচির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে প্রায় দুই হাজার মেধাবী যুবক ও যুব মহিলাদের ভার্চুয়াল স্পেস বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘ডোমেইন ফর এমপ্লয়মেন্ট থ্রু আইসিটি’ শীর্ষক এ কর্মসূচির মাধ্যমে আগ্রহীদের আউটসোর্সিংয়ের আয়ের পথ তৈরি করে দেওয়া  হবে। অন্য চারটি কর্মসূচি হচ্ছে— নাটোরে আইটি অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন, জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল গেম উন্নয়ন, সাইবার নিরাপত্তা (দ্বিতীয় পর্যায়) ও জাতীয় পর্যায়ে টেলিমেডিসিন প্রযুক্তি ও সেবা সম্প্রসারণ। সূত্র জানায়, সরকারের ভিশন-২০২১-এর আওতায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নির্মাণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এরই মধ্যে বেশ কিছু কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। এরই অংশ হিসেবে উল্লিখিত কর্মসূচিগুলো হাতে নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচিগুলোর অনুমোদন দিতে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে চিঠি লিখেছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ১১ জানুয়ারি অর্থ বিভাগে পাঠানো ওই চিঠিতে প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘ডোমেইন ফর এমপ্লয়মেন্ট থ্রু আইসিটি’ শীর্ষক কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষিত ও মেধাবী তরুণ-তরুণীদের ভার্চুয়াল স্পেস প্রদান করা হবে। এর মাধ্যমে বিনামূল্যে ডোমেইন হোস্টিংসহ ওয়েবসাইট প্রদান করে ই-কমার্স বৃদ্ধিতে সহায়তা এবং আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হবে তাদের। এ ছাড়া আইটি অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আগ্রহী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামোগত সুবিধা সৃষ্টি হবে। এ ধরনের সুবিধার মাধ্যমে বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। সাইবার নিরাপত্তায় নেওয়া কর্মসূচির ব্যাপারে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার এবং সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে শিক্ষিত যুবসমাজকে সচেতন করে তোলাই এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। সাইবার অপরাধের কারণে শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ জনগোষ্ঠীই আইসিটি আইন সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে অবগত নয়। ফলে অনেকে না জেনে সাইবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল গেম উন্নয়ন কর্মসূচি সম্পর্কে চিঠিতে বলা হয়, মোবাইল অ্যাপসের উন্নতির পাশাপাশি দেশ-বিদেশে মোবাইল গেম এখন একটি শিল্প হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। ভবিষ্যতে দেশেও ট্রিলিয়ন ডলারের মোবাইল গেম ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে। সে লক্ষ্যে তরুণ প্রজন্মকে তৈরি করতেই এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য খাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে জাতীয় পর্যায়ে টেলিমেডিসিন প্রযুক্তি এবং সেবা সম্প্রসারণ কর্মসূচি নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। এতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে ৬৪টি টেলিমেডিসিন পরামর্শ গ্রহণ কেন্দ্র ও বিভাগীয় পর্যায়ে ২৬টি পরামর্শ প্রদান কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

সর্বশেষ খবর