শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
এটিএম কার্ড জালিয়াতি

ইউক্রেন ও রুমানিয়ার তিন নাগরিককে খুঁজছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাংকের এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে সন্দেহের তালিকা পাঁচ থেকে তিনে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। তারা ইউক্রেন কিংবা রুমানিয়ার নাগরিক বলেই সন্দেহ তাদের। ইতিমধ্যে সম্ভাব্য বেশ কয়েকটি স্থানে তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালিয়েছে গোয়েন্দারা। সব বিমানবন্দর, স্থলবন্দর এবং সমুদ্রবন্দরে সন্দেহ ভাজনদের ছবি ও তথ্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় সন্দেহভাজন অপরাধীদের গ্রেফতার করতে ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাসগুলোর সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র। চাঞ্চল্যকর এ     ঘটনায় একজন গ্রেফতারের গুজব উঠলেও তা স্বীকার করেনি গোয়েন্দারা। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের সন্দেহ পাঁচ থেকে তিনজনে নেমে এসেছে। তিনজনের একজন অবশ্যই এটিএম জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। তাদের গ্রেফতারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাসগুলোর সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। তবে গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, বিদেশিরা ছাড়াও ব্যাংকগুলোর দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু স্টাফ এ ঘটনায় জড়িত রয়েছেন বলে ধারনা। সন্দেহভাজনদের পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পূর্ব ইউরোপের যেসব নাগরিক বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তাদের নাম, পরিচয়, বাংলাদেশে অবস্থানের সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন নাগরিক বাংলাদেশে অবস্থান করে অপরাধী চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে গোয়েন্দা তদন্তে ধরা পড়েছে। তবে তাদের কেন গ্রেফতার করা যাচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, এটিএম বুথের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর তারা গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের সহযোগিতা করছে এ দেশের অপরাধীরা। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে  অপরাধীরা তাদের সহযোগিতা করার তথ্য রয়েছে। প্রসঙ্গত, এটিএম বুথের জালিয়াতের তথ্য প্রথম ফাঁস হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। ইস্টার্ন ব্যাংকের কয়েকজন গ্রাহক অভিযোগ করেন, তাদের হিসাব বা অ্যাকাউন্ট থেকে তাদের অজ্ঞাতসারে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। পরে জানা যায় তিনটি ব্যাংকের ছয়টি এটিএম বুথে ‘স্কিমিং ডিভাইস’ ও ভিডিও ক্যামেরা স্থাপন করে গ্রাহকের তথ্য চুরি করা হয়েছে। পরে ক্লোন কার্ড বানিয়ে ইবিএলের ২১ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে বড় অঙ্কের টাকা তুলে নিয়ে গেছে জালিয়াতচক্র। এটিএম বুথ থেকে তথ্য চুরির ঘটনায় বনানী থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক। মামলার তদন্তভার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দেওয়া হয়েছে। তাদের পাশাপাশি র‌্যাব ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা অভিনব জালিয়াতির বিষয়টি ছায়া তদন্ত করছে।

সর্বশেষ খবর