বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
রামপুরা-কাঁটাবন

সেবার নামে জনদুর্ভোগ

পশ্চিম রামপুরা ওয়াপদা সাব পাওয়ার স্টেশন থেকে কাঁটাবন সাব পাওয়ার স্টেশন পর্যন্ত তিনটি ক্যাবল সংযোগ নিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এ নিয়ে চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। ডিপিডিসির উদ্যোগে রামপুরা, মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার, পরীবাগ হয়ে কাঁটাবন পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার পর্যায়ক্রমে ক্যাবল সংযোগের কাজ চলছে। এটি সম্পন্ন করতে আরও অন্তত দুই মাস লাগতে পারে। এ সময় দুর্ভোগ পিছু ছাড়বে না। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে নগরবাসীকে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পশ্চিম রামপুরা ওয়াপদা সাব স্টেশন থেকে মালিবাগ নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গোড়া পর্যন্ত খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে। এর মধ্যে কিছু অংশ ভরাট করা হয়েছে। কয়েক ফুট গর্ত করে তিনটি ক্যাবল সংযোগের কাজ চলছে। খুবই শ্লথগতিকে কাজ চলছে। এ কারণে মৌচাক থেকে রামপুরাগামী পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে। যানজটে থাকা যাত্রীসাধারণকে গালমন্দ করতেও শোনা যায়। দুই সপ্তাহ আগে থেকেই খোঁড়াখুঁড়ির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে দাবি করেন এক নির্মাণশ্রমিক। এটি স্বাভাবিকভাবে চললে শেষ করতে অন্তত দুই মাস লাগবে বলে জানান তিনি। পশ্চিম রামপুরার বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘উন্নয়নের নামে কয়েক দিন পরপর একেকটি সংস্থা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করে। এক সংস্থার কাজের পর আবারও ওই স্থানে আরেক সংস্থা কাজ করে। এতে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। সেবামূলক কাজে সমন্বয়হীনতা সরকারের ব্যর্থতা। সেবার নামে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলা হচ্ছে।’ রামপুরাগামী এক বাসযাত্রী বলেন, ‘খোঁড়াখুঁড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় কাটাতে হয়। এভাবে দৈনন্দিন মানুষের কত কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে তা সরকারকে বুঝতে হবে। যানজটের কারণে অনেক সময় রোগী রাস্তায় মারা যাচ্ছে। সরকারকে এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে যানজট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’ ডিপিডিসির প্রকৌশলী রমিজ উদ্দিন সরকার বলেন, ‘রাজধানীর খোঁড়াখুঁড়িতে জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে। এ জন্য সমন্বিতভাবে কাজ করা দরকার। ঢাকায় অন্তত ১০টি সেবাপ্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এর মধ্যে ডিসিসি, ডেসকো, তিতাস, ডিপিডিসি, ওয়াসা, রাজউক অন্যতম। ঢাকায় আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। এতে জনদুর্ভোগ কমবে। তবে যৌথভাবে কাজ করতে ইতিমধ্যে প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।’ ক্যাবল নির্মাণের কাজে নিয়োজিত ইঞ্জিনিয়ার বেলাল হোসেন জানান, ‘খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করতে ডিএমপির অনুমতি নিতে হয়। এখনো কিছু অংশের অনুমতি পাইনি। এ জন্য পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দুই মাসেরও বেশি লাগতে পারে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর