প্রচণ্ড দাবদাহে সারা দেশে জনজীবন অতিষ্ঠ। রাজশাহী ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাঙামাটি, চাঁদপুরসহ অনেক জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে রাজশাহীর একজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। প্রচণ্ড দাবদাহে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ঘরে ঘরে ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিশুরাই বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের দুর্ভোগ বেড়েছে। রাজশাহীতে গতকাল চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এ অঞ্চলে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে— ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় আজ অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ সহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী মাসে বঙ্গোপসাগরে দুই একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। এর প্রভাবে দেশে বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। রাজশাহী : প্রচণ্ড গরমে তানোরের গাল্লা গ্রামে কেন্টু (৪৫) নামে এক কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। কেন্টু চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রানীহাটি ফতেপুর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে। তার সহকর্মী ইব্রাহিম, রবু ও হায়াত জানান, ছয় দিন আগে তারা গাল্লা গ্রামের ইয়াকুব আলীর বাড়িতে ধান কাটার কাজ করতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ধানের বোঝা মাথায় নিয়ে তারা উঠানে আসছিলেন। এ সময় কেন্টু মাঠের মধ্যে ধানের বোঝা নিয়ে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তার আগেই কেন্টু মারা যান।