রাজধানীর মিরপুরের কল্যাণপুরে গতকাল দুই শিশু সন্তানের সামনেই স্ত্রী ঝর্ণা বেগমকে (৪০) গলা কেটে হত্যা করেছে তার স্বামী। নিহত ঝর্ণার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে।

পাঁচ সন্তানের জননী ঝর্ণার স্বামী সাহিদ মিয়াকে নিয়ে কল্যাণপুরের ২৫/৯ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় থাকতেন। গতকাল বিকালে এ ঘটনার পর ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। পরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, ঝর্ণার গলা, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ভূইয়া মাহবুব হাসান বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। অভাব-অনটনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চলছিল। সাহিদ রিকশাচালক ছিলেন। রিকশার টাকায় সংসার চলত না। একপর্যায়ে ঝর্ণা গৃহকর্মীর কাজ নেয়। মাস শেষেও সাহিদ তার স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা দাবি করে আসছিলেন। এই টাকা নিয়েই সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। দুপুরে সাহিদ বাসায় খাবার খেতে এলে আবারও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে দুই শিশু সন্তানের সামনেই ঝর্ণাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।