শিরোনাম
শুক্রবার, ১৩ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

কুমিল্লায় সুজন হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

বাগেরহাটে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর ফাঁসি

প্রতিদিন ডেস্ক

কুমিল্লার চান্দিনা বাজারের ব্যবসায়ী সুজন হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক নুর নাহার বেগম শিউলী এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— চান্দিনার ছায়কোট গ্রামের মৃত মোস্তফার ছেলে আবুল কালাম, শাহজাহানের ছেলে মো. সবুজ ও আজমপাড়ার আবদুল মান্নানের ছেলে মো. তৌফিক। এদিকে, বাগেরহাটের মোল্লাহাটে নববধূ শরীফা আক্তার পুতুলকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক  মো. মিজানুর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত স্বামী শিকদার মাহমুদুল আলম একই গ্রামের মৃত শিকদার সামছুল আলমের ছেলে। আমাদের কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, চান্দিনা বাজারের ব্যবসায়ী সুজন হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক নুর নাহার বেগম শিউলী এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— চান্দিনা উপজেলার ছায়কোট গ্রামের আবুল কালাম (২৪), মো. সবুজ (২৪) ও মো. তৌফিক। জানা যায়, ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মুরাদনগর উপজেলার কালাডুমুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে চান্দিনা বাজারের বেকারি ব্যবসায়ী সুজন ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে মোটরসাইকেল কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। রাতে সে না ফিরলে খবর নিয়ে জানা যায়, সে তার ৩ বন্ধু চান্দিনা উপজেলার ছায়কোট গ্রামের আবুল কালাম, মো. তৌফিক ও সবুজের সঙ্গে দেখা করতে গেছে। ২১ সেপ্টেম্বর তার লাশ চান্দিনা মহিলা কলেজের কাছে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাগেরহাট : মোল্লাহাটে ঢাকা ইডেন কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী ও নববধূ শরীফা আক্তার পুতুলকে (২১) হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত স্বামী শিকদার মাহমুদুল আলম (৩৫) একই গ্রামের প্রয়াত শিকদার সামছুল আলমের ছেলে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে পলাতক রয়েছেন। নিহত শরীফা মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের দৈবকান্দি গ্রামের মো. আবু দাউদের মেয়ে। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, আত্মীয়তার সূত্রে শরীফা আক্তার পুতুলের সঙ্গে মাহমুদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর শরীফা ও মাহমুদ গোপনে বিয়ে করেন। ঘটনা জানাজানি হলে উভয় পরিবার মেনে নিয়ে ২০১৩ সালের ১০ মে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে দেন। তিন দিন পর ১৩ মে মাহমুদ স্ত্রী শরীফার মুঠোফোনে অশ্লীল ক্ষুদে বার্তা দেখে ক্ষুব্ধ হন। পরে পুতুলের পরকীয়া রয়েছে অজুহাতে ক্ষিপ্ত হয়ে শরীফাকে দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করেন। হত্যার পর রাতেই মাহমুদ থানায় গিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেন। পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে শরীফার লাশ ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত ধারালো চাপাতি উদ্ধার করে।

 

সর্বশেষ খবর