রবিবার, ১৫ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

এমপির গাড়ি থেকে লুট ও ধর্ষণের আসামি আটক

জমির বেগ্, ফেনী

জেলার সোনাগাজীতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই নেতার পৃথক দুই বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাজি রহিম উল্লাহর ক্যাডাররা। এ সময় তারা স্থানীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইফতেখারের ভাবিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। বৃহস্পতিবার   দিবাগত রাত ৩টার দিকে সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে এ দুটি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর গতকাল সন্ধ্যায় এমপি হাজি রহিম উল্লাহর গাড়িবহরে তল্লাশি চালিয়ে হামলা, লুটপাট ও ধর্ষণচেষ্টায় জড়িত কয়েকজনকে আটক করে র‌্যাব। গাড়িবহরটি সোনাগাজী থেকে ফেনী প্রবেশের পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লালপুলে এলে তাদের গতি রোধ করে র‌্যাব তল্লাশি চালায়। এ সময় গাড়িবহরে থাকা লোকজন র‌্যাবের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং হুমকি-ধমকি দেয়। তবে গাড়িবহর থেকে কাউকে আটকের সত্যতা তাত্ক্ষণিকভাবে স্বীকার করেনি আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত সরকারি সংস্থাটি।

স্থানীয় আমিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির জানান, দু-তিন দিন ধরে এমপি রহিম উল্লাহ সোনাগাজীর বিভিন্ন স্থানে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিলেন। তার উপস্থিতিতে নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে স্থানীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ইফতেখারুল আলমের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা, লুটপাট ও তার ভাবিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তারা ইফতেখার ও তার বাবা আবুল ফয়েজ মিয়াধনের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় আহত ইফতেখার ও তার বাবা ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একইভাবে এমপি রহিম উল্লাহর ক্যাডাররা একই গ্রামে স্থানীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতন চালায়। এ সময় তারা তার ১০ মাসের শিশুসন্তানকে আছাড় দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী ও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনগাজীতে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের বাড়িতে ও হাসপাতালে গিয়ে তাদের সমবেদনা জানান। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যুবলীগ নেতা আজিজুল হকের হত্যাকারী আলমকে সেখানকার বাসিন্দারা ধরে পুলিশে দেওয়ার জের ধরে এ হামলা, লুটপাট ও ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আলম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন আছেন।

সর্বশেষ খবর