মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা
মধুমাস

বাজারে দিনাজপুরী লিচু

দিনাজপুর প্রতিনিধি

বাজারে দিনাজপুরী লিচু

অনন্য স্বাদের টসটসে লাল দিনাজপুরী লিচু এখন বাজারে। লোভনীয় এ লিচু সবার মন জয় করে। দিনাজপুরী লিচু মানেই অন্য রকম মিষ্টি ও রসালো স্বাদ। বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি আর দেশি লিচু এখন গাছে গাছে। বাগানগুলোতে মৌ মৌ গন্ধ। দিনাজপুরের পুলহাট ও নিউমার্কেটে মাদ্রাজি, বোম্বাই লিচু বাজারে উঠেছে। যদিও লিচু পাকেনি, তারপরও বাজারে কদরের কমতি নেই। সময়ের আগে বাজারে আসা লিচুর স্বাদ তেমন পাওয়া না গেলেও চাহিদা কম নেই। আগামী সপ্তাহে পুরোদমে বাজারে নামতে শুরু করবে লিচু। এ অবস্থায়ই চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। চাষিরা জানান, প্রতি শ লিচুর মূল্য ১৮০ থেকে ৪৫০ টাকা। যদিও পর্যাপ্তভাবে বেদানা ও চায়না-থ্রিসহ অন্যান্য জাতের লিচু নামেনি। লিচু পল্লী বলে খ্যাত মাসিমপুর এলাকার বাগানি জিয়াউর রহমান জানান, বাগানের গাছে থোকায় থোকায় লিচুতে আলতো সিঁদুর রঙে রঙিন হয়ে ডালে ডালে ঝুলছে। আসাদুজ্জামান লিটন জানান, দিনাজপুরের দক্ষিণ কোতোয়ালি ও মাসিমপুরসহ আশপাশে কিছু এলাকায় ভিটা, জমি, বসতবাড়ি এবং ডাঙা জমিতে লাগানো লিচুর আবাদ ছিল সীমিত। এখন এর বিস্তৃতি ব্যাপক। বেদানা লিচু নামে যেমন বেদানা তেমন গুণেও বেদানার মতোই। এই লিচুর বিচি আঁশের তুলনায় ৮-১০ গুণ ক্ষুদ্র। লিচু ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, একটি বড় গাছে ২ থেকে ১০ হাজার এবং সবচেয়ে ছোট গাছে ১ থেকে ২ হাজার লিচু এক মৌসুমে পাওয়া যায়। নতুন গাছে ৫০০-৬০০টি পর্যন্ত লিচু হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরে ৪ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে ছোট-বড় ৫ হাজার ২৯৮টি বাগানে ৬ লাখ ৪৫টি গাছে লিচু উত্পাদন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ হাজার ২২৭ মেট্রিক টন। এক হেক্টরে প্রায় ২০০টি গাছ থাকে। বাগান ছাড়াও কিছু সংখ্যক বাড়ি, বাড়িসংলগ্ন ভিটা জমিতে ২-৪টি করে লিচু গাছ রয়েছে। সদরসহ কাহারোল, বিরল, চিরিরবন্দর, বীরগঞ্জ প্রভৃতি উপজেলায় এই ফলের চাষাবাদ বাড়ছে। বর্তমানে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলায়ও লিচুর চাষাবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। এ মৌসুমে জেলায় ১৬০ থেকে ১৭০ কোটি টাকার লিচু পাওয়া সম্ভব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর