মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

জিঙ্ক সমৃদ্ধ ধান আবাদ পাবনায়

এস এ আসাদ, পাবনা

জিঙ্ক সমৃদ্ধ ধান আবাদ পাবনায়

উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে পাবনায় জিঙ্ক সমৃদ্ধ ব্রি-৬৪ ধান আবাদে আগ্রহ বাড়ছে। চলতি বছর জেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে এ ধানের আবাদ হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, এ ধানের চাহিদা বেড়েই চলেছে।

কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতি কেজি ‘ব্রি ধান-৬৪’ তে ১৯ মিলিগ্রাম জিঙ্ক ও ৯ শতাংশ আমিষ রয়েছে। অধিক ফলনশীল ও স্বল্প সময়ে চাষযোগ্য এই ধান রোপণের ১০০ দিন পরেই ঘরে ওঠায় উত্পাদন খরচও কমেছে। ব্যাপক পরিসরে এ ধানের আবাদ সম্প্রসারণ করলে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ অনেকটাই সম্ভব হবে। এ প্রসঙ্গে হার্ভেস্ট ফ্লাস বাংলাদেশের কুষ্টিয়া কৃষি উন্নয়ন ও গবেষণা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষ জিঙ্কের অভাবজনিত কারণে নানা রোগে ভোগেন। গর্ভবতী নারী ও শিশুদের জন্য এ উপাদানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দামি খাবার ও ফলমূলে এ উপাদান থাকায় তা একসময় অত্যন্ত ব্যয়বহুল ছিল। বর্তমানে ব্রি-৬৪ ধানে এ উপাদান সংযুক্ত থাকায় দরিদ্র মানুষ এখন খুব সহজেই এ চালের ভাত থেকে উপাদানটি গ্রহণ করতে পারবে।

জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার নুরনগর গ্রামে এ জাতের ধানের সফল উত্পাদন হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখেও ফুটেছে হাসি। কৃষক জুয়েল রানা জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে চলতি মৌসুমে অল্প কিছু জমিতে তিনি এ ধানের পরীক্ষামূলক আবাদ করেন। ফলন খুবই ভালো হয়েছে।

আর যেহেতু শরীরের জন্যও উপকারী তাই আগামীতে তিনি আরও বেশি জমিতে এ ধানের আবাদ করবেন। গ্রামের অন্য কৃষকও তার কাছে এ ধানের বীজ চেয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, খামারবাড়ী পাবনার উপ-পরিচালক বিভূতি ভূষণ সরকার বলেন, পাবনায় ব্রি-৬৪ ধান আবাদে কৃষকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। হেক্টর প্রতি ছয় থেকে সাত টন উত্পাদন সক্ষমতা থাকায় কৃষকের কাছে দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে এ ধান।

সর্বশেষ খবর