শিরোনাম
বুধবার, ১ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

আশ্বাস ছাড়া কিছুই পায়নি ননএমপিও শিক্ষকরা

আকতারুজ্জামান রুনকি

এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা গত বছরের অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত আন্দোলন করেছেন। আমরণ অনশন, কালো পতাকা মিছিল, শূন্য থালা হাতে মিছিলও করেছেন তারা। কিন্তু আশ্বাস ছাড়া কিছুই জোটেনি তাদের ভাগ্যে। দাবি পূরণ না হওয়ায় তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। শিক্ষক নেতারা বলছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি মেনে নিতে স্পষ্ট কোনো আভাসই দেওয়া হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, বাজেট বরাদ্দ পাওয়া না গেলে এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া সম্ভব নয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ৮ হাজার। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী। প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ২০ লাখ। গতবছর থেকেই ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা অর্থে কোনো মতে বেতন হয় শিক্ষকদের। বিশেষ করে মফস্বল এলাকার শিক্ষার্থীদের স্কুল ফি কম হওয়ায় শিক্ষকরা নামেমাত্র বেতন পেয়ে থাকেন। জানা গেছে, ২০০৪ সালে চারদলীয় জোট সরকার ননএমপিও প্রতিষ্ঠান এমপিও দেয়। আর্থিক সংকট, এমপিও নিয়ে দুর্নীতি, এমপিওর অপব্যবহার, অপচয়সহ নানা কারণে এমপিও দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ২০১০ সালে বর্তমান সরকার পুনরায় এমপিও দেয়। এ সময় দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে আবেদন চাওয়া হয়। আবেদন জমা পড়েছিল ৭ হাজার ৫৩৩টি। ওইসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪ হাজারকে বৈধ হিসেবে বাছাই করেছিল মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৬২৫টি এমপিও পেয়েছে। অর্থ বরাদ্দ না থাকায় প্রায় আড়াই হাজার যোগ্য হলেও এমপিওভুক্ত হয়নি। পাঁচ বছরে আরও কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠান এমপিওর যোগ্যতা অর্জন করে। শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন। এ বরাদ্দ না পাওয়ার কারণেই এটি বিলম্বিত হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা ও বরাদ্দ না পেলে এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই। তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষকদের ব্যাপারে সব সময়ই আন্তরিক।

সর্বশেষ খবর