কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি অধ্যক্ষ আফজল খান বলেছেন, বাজেটের আলোচনা উঠলে বাজারে দ্রব্যমূল্য বাড়তে শুরু করে। সাধারণ মানুষ উৎকণ্ঠায় থাকে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরাও কর বাড়ার আতঙ্কে থাকেন। তাই বাজেট হতে হবে ব্যবসায়ী ও জনবান্ধব। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যেন অহেতুক না বাড়ে সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। এদিকে কর না বাড়িয়ে যারা কর দেওয়ার উপযুক্ত কিন্তু দিচ্ছে না তাদের করের আওতায় আনতে হবে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয় সরকার যেন গণমানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করে বাজেট প্রদান করে সেই প্রত্যাশা করছি। তিনি আরও বলেন, কুমিল্লা বিমানবন্দর ৪ দশক ধরে বন্ধ হয়ে আছে। বিমানবন্দর চালু হলে কুমিল্লায় আরও বেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসত। বিমানবন্দর সংলগ্ন ইপিজেডে বিনিয়োগ বাড়াতে বিমান চলাচল সময়ের দাবি। কুমিল্লা ইপিজেডে বিনিয়োগ বাড়লে কর্মসংস্থান হতো বিপুল সংখ্যক মানুষের। কুমিল্লার অর্থনীতিতে যোগ হতো নতুন মাত্রা। তিনি বলেন, কুমিল্লা বিসিকে রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ সমস্যার কারণে ব্যবসায়ীরা দুর্ভোগে পড়ছেন। এগুলোর সংস্কারে নজর দিতে হবে। কুমিল্লায় সম্ভাবনাময় স্থলবন্দর রয়েছে। এখান থেকে সহজে ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়া যায়। কুমিল্লায় শিল্পখাতে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। সুলভ মূল্যের শ্রমিক দিয়ে পণ্য উৎপাদনের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সে তুলনায় শিল্পক্ষেত্রে কুমিল্লা অগ্রসর হতে পারেনি। এক্ষেত্রে কুমিল্লায় বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে।