শিরোনাম
রবিবার, ৫ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

ওমরাহ পালন করলেন প্রধানমন্ত্রী

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

ওমরাহ পালন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সৌদি আরব সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল পবিত্র ওমরাহ পালন করেছেন। এ সময় তিনি দেশ, জনগণ ও সমগ্র মুসলিম জাহানের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং উন্নতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। আজ তিনি সৌদি রাজপ্রাসাদে বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গত শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে বিমানের ভিভিআইপি ফ্লাইটে জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দরে অবতরণের পর কিং ফয়সাল প্যালেসে অনুষ্ঠিত এক ভোজসভায় যোগ দেন। সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ বিন আবদুল আজিজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে এ নৈশভোজের আয়োজন করেন। প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, সৌদি আরবের হজ এবং ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. মোহাম্মাদ সালেহ বিন তাহের বেনটেন, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) প্রেসিডেন্ট ড. আহমেদ মোহাম্মাদ আলী আল মাদানী, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স (ওআইসি) মহাসচিব ইয়াদ বিন আমিন মাদানী অন্যান্যের মধ্যে ভোজসভায় অংশগ্রহণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী মধ্যরাতে জেদ্দা থেকে সড়কপথে মক্কা নগরীতে পৌঁছান। ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী শেখ হাসিনা পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ করেন এবং সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে সাঈ করার মাধ্যমে ওমরাহর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। ভোরে তিনি মসজিদুল হারামে ফজরের নামাজ আদায় করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এবং প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য সফরসঙ্গীও এ সময় পবিত্র ওমরাহ পালন করেন। গতকাল বিকালে জেদ্দায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশের চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স এবং বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সফরসূচি অনুসারে, আজ রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর জেদ্দা রয়্যাল কনফারেন্স প্যালেসে সৌদি সরকারের প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপমন্ত্রী সালমান বিন সুলতান আল সৌদ এবং সৌদি বাদশাহের রয়্যাল কাউন্সিলের উপদেষ্টা ইয়াসের আল মিয়াসহ কয়েকজন সৌদি মন্ত্রী এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। দুপুরে জেদ্দা নগরীর আল আন্দালুসে সৌদি বাদশাহের আল সালাম প্রাসাদে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন নায়েফ বিন আবদুল আজিজ সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। পরে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী সৌদি বাদশাহর সঙ্গে। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয় ছাড়াও আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়েও আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য, বিভিন্ন প্রকল্পে সৌদি সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং হজ ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলো আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। আগামীকাল সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বিমানে জেদ্দা থেকে মদিনায় পৌঁছে উঠবেন হিলটন হোটেলে। প্রধানমন্ত্রী সেখানে মসজিদে নববীতে আসর এবং মাগরিবের নামাজ আদায় করবেন এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন। মঙ্গলবার মদিনার প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন আবদুল আজিজ বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সর্বশেষ খবর