শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

সবজি বীজ চাষে মাসে আয় ৭০ হাজার টাকা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

সবজি বীজ চাষে মাসে আয় ৭০ হাজার টাকা

বীরগঞ্জের সুজালপুর শিতলাই গ্রামের রাসেদুন নবী বাবু, যিনি প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে সবজি বীজ চাষ করছেন। এই চাষে তিনি প্রতিমাসে লাভ করছেন কমপক্ষে ৭০ হাজার টাকা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বেতন কম ছিল বলে এই কর্মে পা বাড়ানো। আর এ কর্মই তাকে করে তুলেছে দারুণভাবে স্বাবলম্বী। রাসেদুন নবী বাবু জানান, সংসারের বাড়তি আয়ের প্রয়োজনেই তিনি চাকরি করতে ঢাকা গিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরির বেতনে দিন চলছিল না। তখন চাকরি ছেড়ে দিয়ে গ্রামে চলে আসেন তিনি। তারপর ২০০৪ সালে বাড়ির পাশের ৪০ শতক জমিতে করলার বীজ চাষ করেন। এতে খরচ হয় ৩০ হাজার টাকা। আর করলা থেকে তৈরি বীজ বিক্রি হয় ৯০ হাজার টাকায়। লাভ থাকে ৬০ হাজার টাকা। পরে তিনি এক বিঘায় লাউ বীজ চাষ করেন। তাতে লাভ হয় প্রায় ৯০ হাজার টাকা। এখন তিনি বিভিন্ন সময় করলা, ঝিঙ্গা, লাউ, ধুন্দল, কুমড়া, বেগুন, পিয়াজ, ঢেঁড়স বীজ চাষ করছেন। প্রায় ৫ একর জমিতে এ চাষ চলছে। এজন্য প্রতিদিন দিনমজুর লাগছে ২৫ থেকে ৩০ জন। এভাবে বীজ চাষ করে বীজ তৈরির পর বিক্রি করে প্রতিমাসে সব খরচ বাদ দিয়ে লাভ হচ্ছে কমপক্ষে ৭০ হাজার টাকা। বাবু জানান, এখন ৫ একর জমিতে বিভিন্ন বীজের চাষ চলছে। এজন্য নিজের জমি ছাড়াও অন্যের জমি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এখানকার উৎপাদিত বীজ ‘লাল তীর’ কোম্পানির কাছে বিক্রি করা হয়। তিনি আরও জানান, ৫০ শতক জমিতে চাল কুমড়া চাষ করে খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা। ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে উৎপাদিত প্রায় ১০০ কেজি চাল কুমড়ার বীজ বিক্রি হয় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। বাবু বলেন, ‘একেক সময়ে একেক সবজির বীজ চাষ করে লাভবান হয়েছি। যে কেউ উদ্যমী হলেও তার মনোবল দৃঢ় থাকলেই সাফল্য অর্জন সম্ভব। তাহলে স্বাবলম্বী হতে সময় লাগবে না, চাকরির পিছনেও ছুটতে হবে না।’

সর্বশেষ খবর