শিরোনাম
রবিবার, ১২ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

একসঙ্গে আয়োজন তিন হাজার মানুষের

বাদল নূর

একসঙ্গে আয়োজন তিন হাজার মানুষের

হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, ঢাকায় কর্মরত দিনমজুর, শ্রমিক, ভিক্ষুকসহ প্রায় ৩ হাজার রোজাদার একসঙ্গে বসে ইফতার করলেন গতকাল বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে। প্রতিদিনই এভাবে ইফতার মাহফিল হচ্ছে। ব্যয় মেটাচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ইফতারের আয়োজন ঘিরে বায়তুল মোকাররম মসজিদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মিলনমেলায় পরিণত হয় রোজ সন্ধ্যায়। কোথাও ১০-১২ জনের দল বসেছে বৃত্তাকার হয়ে। কোথাও আবার ৮-১০ জনের দল। ইফতারের সময় যতই ঘনিয়ে আসে ততই বাড়ে রোজাদারের আনাগোনা। ২০০টি বড় থালায় ইফতারি পরিবেশন করা হয় যাতে একসঙ্গে ৬ থেকে ৮ জন ইফতার করতে পারেন। এ ছাড়াও ৪০০ রোজাদারের জন্য ছোট বা সিঙ্গেল থালা রয়েছে। আসর নামাজের পরই বায়তুল মোকাররম মসজিদে শুরু হয় ইফতারের আয়োজন। গতকাল দেখা যায়, একদিকে ইফতারি বিলি-বণ্টনের ব্যস্ততা, অন্যদিকে চলছিল কোরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাত পাঠ ও ধর্মীয় বয়ান। এতে অংশ নেন ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা খন্দকার মাহবুবুল হক। গতকাল ইফতারের আগে দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি। মোনাজাতে হাজারো কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল আমিন, আমিন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এ বছর ইফতারের জন্য ফাউন্ডেশন সাড়ে পনের লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে। প্রতিদিন খেজুর, ছোলা, মুড়ি, কলা, কাঁঠাল, জিলাপি, পিয়াজু ও শরবতের আয়োজন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ ইফতারের জন্য প্রয়োজন হয় ৫০ কেজি খেজুর, ৬০ কেজি মুড়ি, ৯০ কেজি ছোলা, ৬০ কেজি পিয়াজু, ১২ বোতল রুহ আফজা, ৩৫ কেজি চিনি, ৭০ কেজি জিলাপি, বড় সাইজের ৩০টি কাঁঠাল ও ২ হাজার কলা। জানা গেছে, ইফতারি পরিবেশনে এ বছর নিযুক্ত আছেন ৩০ জন খাদেম। এ ছাড়াও মসজিদের আশপাশের ব্যবসায়ীরা পরিবেশনের কাজ করেন। রোজাদারদের বসার জন্য ম্যাট বিছিয়ে রাখা হয়। প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার রোজাদার এখানে ইফতার করছেন বলে জানা গেছে।

গত বছরের তুলনায় এবার এ মসজিদে রোজাদারের সংখ্যা বাড়ছে। ২০০৯ সাল থেকে বৃহৎ পরিসরে বায়তুল মোকাররম মসজিদের মুসল্লিদের ইফতারের আয়োজন করে আসছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এ ছাড়া ব্যক্তি-উদ্যোগেও অনেকে ইফতারিসামগ্রী দিয়ে যান। ইফতার করতে আসা শেখ সাবের আহমেদের সঙ্গে কথা হয় গতকাল। তিনি জানান, ‘ইফতার শেষে জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়ার সুবিধার জন্য এ মসজিদে আসছি। তা ছাড়া অনেকের সঙ্গে ইফতার করতে পারা আনন্দেরও বিষয়।’ আনিস নামে এক চাকরিজীবী এখানে আসেন ইফতার করতে। তিনি বলেন, ‘এখানে ইফতারির মান ভালো। তা ছাড়া অনেকে একসঙ্গে বসে ইফতার করার মজা আলাদা।’

সর্বশেষ খবর