শিরোনাম
রবিবার, ১২ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঘাসের খামারে ভাগ্য বদল

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

ঘাসের খামারে ভাগ্য বদল

বগুড়ার শাজাহানপুরে উচ্চ ফলনশীল জাতের ঘাসের খামার করে ভাগ্য বদলাতে মাঠে নেমেছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা আমিনুল ইসলাম মুন্না। এইচএসসি পাস মুন্না উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে। তিনি কখনোই চাকরির শিকলে বন্দী হতে চান না। তাই আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য মাছ চাষ, ফসল চাষ এবং ঘাসের খামার স্থাপনের পরিকল্পনা করে কাজ করছেন। শুরুতে মুন্না তার বাড়ির কাছে নিজের ৫-৬ বিঘা জমির সঙ্গে অন্যদের কাছ থেকে ২৪-২৫ বিঘা  জমি শর্ত সাপেক্ষে ধার নেন। ওই জমিতে তিনি ২ বছর যাবত বর্ষাকালে ধানের সঙ্গে সমন্বিত মাছ চাষ করেছেন। এতে তিনি ভালো লাভ পেয়েছেন। তাই এ বছর হেলেঞ্চাপাড়া মৌজায় ৫ বিঘা পতিত জমি পত্তন নিয়ে সেখানে উচ্চ ফলনশীল জাতের নেপিয়ার ঘাসের খামার করেছেন। তার মতে, প্রতি ৪০ দিন পর পর এই ঘাস কাটা যাবে। খামার থেকে এক বছরে অন্তত ৯ বার ঘাস সংগ্রহ করা সম্ভব। উৎপাদিত ঘাস বিক্রি করে সাড়ে ৩ লাখ টাকা আয় হবে। অপরদিকে জমি পত্তন, চারা রোপণ, পানি সেচ, নিরানি ও শ্রমিক মজুরি মিলে ওই ঘাসের খামারে তার বার্ষিক খরচ হবে মাত্র ৯০ হাজার টাকা। এ হিসেবে ঘাসের খামার থেকে এক বছরে মুন্না লাভ পাবেন আড়াই লক্ষাধিক টাকা। মুন্না জানিয়েছেন, স্থানীয় অনেক কৃষক পরিবারই গবাদি পশু মোটাতাজাকরণ কিংবা দুধ উৎপাদনে নিজ বাড়িতে গাভী পালন করেন। আর উভয় কাজেই সফলতা অর্জন করতে হলে কাঁচা ঘাসের বিকল্প নেই। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে দিন দিন গোচারণ ভূমি কমে যাচ্ছে। চাহিদা মতো কাঁচা ঘাস পাওয়া যাচ্ছে না। কাঁচা ঘাসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই মুন্না ঘাসের খামার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শাজাহানপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোহেল মো. শামসুদ্দীন ফিরোজ জানিয়েছেন, মুন্নার এই উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। এতে একদিকে পতিত জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে, আরেকদিকে ঘাসের অভাবও দূর হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর