মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

মনিরুজ্জামান মিঞা আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

মনিরুজ্জামান মিঞা আর নেই

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিঞা আর নেই। গতকাল বেলা সোয়া ১২টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ... রাজিউন।) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও  পরিবেশ বিভাগের সাবেক এই অধ্যাপকের বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি ছিলেন অকৃতদার। মরহুমের মরদেহ স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক শোকবার্তায় মনিরুজ্জামান মিয়ার প্রতি ‘গভীর শ্রদ্ধা’ জানিয়ে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। শোকবার্তা পাঠান বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট, জাগপাসহ ২০-দলীয় জোট। বিএনপির অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথক শোকবার্তা দেওয়া হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে এবং আসরের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে বনানীতে তাকে তার বাবার কবরে দাফন করা হবে। বিএনপি সমর্থক বুদ্ধিজীবী মনিরুজ্জামান মিঞা অসুস্থতার কারণে অনেক দিন ধরেই অনেকটা আড়ালে ছিলেন। বনানীর জামান ভিলার বাসায় নীরবে নিভৃতে দিন কাটত তার। বেশ কিছুদিন ধরেই তার স্মৃতিভ্রম চলছিল। পরিবারের বাইরে তার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের সুযোগ ছিল না। মনিরুজ্জামান মিঞা বিএনপি সমর্থক পেশাজীবীদের সংগঠন শত নাগরিক জাতীয় কমিটির সদস্য ও জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় পুনর্গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনে অধ্যাপক মনিরুজ্জামানকে কমিশনারের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। মনিরুজ্জামান মিঞার জন্ম ১৯৩৫ সালে। লেখাপড়া করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে মাস্টার্স করার পর জগন্নাথ কলেজে তার শিক্ষকতার শুরু। ১৯৬১ সালে ফ্রান্সে গিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেন। পাঁচ বছর পর দেশে ফিরে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে। এরশাদ সরকারের শেষ বছর ১৯৯০ সালের মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিঞা। ১৯৯২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি ওই দায়িত্বে ছিলেন। পরে তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তাকে রাষ্ট্রদূত করে সেনেগালে পাঠান। এরপর ২০০১ সালে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় এলে মনিরুজ্জামান মিঞাকে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়। পরে ইবাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

সর্বশেষ খবর