শনিবার, ১৮ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

তিন জেলায় সংঘর্ষ পাঁচজনের মৃত্যু

প্রতিদিন ডেস্ক

তিন জেলায় সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে জামালপুরের বকশীগঞ্জে দুজন, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় দুজন এবং হবিগঞ্জ শহরে একজন। স্থানীয় বিরোধকে কেন্দ্র করে এসব স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

জামালপুর : বকশীগঞ্জে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতরা হলেন গোয়ালগাঁও গ্রামের মৃত পসু মণ্ডলের ছেলে মণ্ডল মিয়া (৬০) ও গোল্লা মিয়ার ছেলে মুশারফ হোসেন (৪৮)। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকালে বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার গোয়ালগাঁও গ্রামে শামীম হোসেন (১০) ও মনজুরানী (৯) বাড়ির পাশে কাঁঠালের বিচি নিয়ে খেলা করছিল। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হলে দুই পরিবারের লোকজনও ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে মুশারফ হোসেনকে ঢাকা মেডিকেলে এবং মণ্ডল মিয়া, জুলেখা বেগম, শাহালি মিয়াকে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গতকাল ভোরে মণ্ডল মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে সকাল ৯টার দিকে মুশারফ হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ময়মনসিংহ : ফুলবাড়িয়ার রাঙামাটিয়া ইউনিয়নে ‘বড়বিলা’ বিলকে কেন্দ্র করে ইজারাদার ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ২৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সকালে উপজেলার আনুহাদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন আবদুল হালিম (৩০) ও আনছার আলী (৩৩)। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বড়বিলা বিলটি স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা রুস্তম আলী ইজারা নিয়ে চালাচ্ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তার বিপক্ষের লোকজন বিলের বানার কেটে দেয়। গতকাল সকালে রুস্তম এর প্রতিবাদ করতে গেলে দুই পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একেঅপরের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে রুস্তম পক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হালিম ও আনছার মারাত্মক আহত হন। গতকাল তারা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিফাত খান রাজীব জানান, এ ঘটনায় ইজারাদার রুস্তম আলী, মোজাম্মেল হক মোজা ও আবদুল মতিনকে আটক করা হয়েছে। হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ শহরতলির নিজামপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে শালিস বৈঠকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আবদুস সালাম নামে এক যুবলীগ নেতা নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এই সংঘর্ষ ঘটে। জানা গেছে, যুবলীগ নেতা ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল গফুরের ছেলে আবদুস সালামের সঙ্গে একই গ্রামের আফছর আহমেদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে তারাবির নামাজের পর শালিস বৈঠক বসে। এতে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ১৬ জন আহত হন। পরে আহতদের মধ্যে যুবলীগ নেতা আবদুস সালাম মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ দুই মহিলাকে আটক করেছে। তারা হলেন নিজামপুর গ্রামের আকবর হোসেনের স্ত্রী নুর নাহার (৪০), একই গ্রামের আফতাব আলীর স্ত্রী আঙ্গুরা বেগম (৪৫)। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, জায়গা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই মহিলাকে আটক করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর