মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

শুরুতেই শেষ আগাম টিকিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

শুরুতেই শেষ আগাম টিকিট

আগাম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনেই রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে ছিল উপচে পড়া ভিড় —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঈদ যাত্রায় অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনের শুরুতেই কাউন্টারে টিকিট শেষ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন টিকিট প্রত্যাশীরা। গতকাল প্রথম দিন সকালে গাবতলী বাস টার্মিনাল, কল্যাণপুর এবং মিরপুর মাজার রোডের কাউন্টারগুলোয় দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের টিকিটপ্রত্যাশীদের ছিল দীর্ঘ লাইন। কাউন্টারে ভিড় করা যাত্রীদের অধিকাংশই টিকিট পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও টিকিটপ্রাপ্তিতে পুলিশ ও সরকারদলীয় বিভিন্ন লোকজনের চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাস কাউন্টারের ম্যানেজাররা।

ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের জন্য অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয় গতকাল সকাল থেকে। আর ঈদের টিকিট বিক্রির সময় ধরা হয়েছে ৩০ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত। মহাসড়কে যানজট ও সার্বিক পরিস্থিতি ঠিক থাকলে উত্তরাঞ্চলের দূরপাল্লার বাসের আরও ২০-২৫টি ট্রিপ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বাস মালিকরা। নাবিল পরিবহনের কাউন্টারে টিকিট নিতে আসা লিটন রানা জানান, ৩০ জুন রাতের টিকিট নিতে এসেছি সকালে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই শুনি টিকিট শেষ। আশরাফ থাকেন শ্যামলীতে। গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। তিনি ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য আগাম টিকিটের প্রত্যাশায় রবিবার সাহরির পর থেকেই বালুরমাঠ হানিফ কাউন্টারের লাইনে দাঁড়িয়েছেন। তিনি জানান, আমাদের কয়েকজনের ৩০ জুন এবং ৪ জুলাইয়ের টিকিট ছিল। কয়েকটি টিকিট নেওয়ার পরই কাউন্টার কর্মীরা বলে টিকিট নেই। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, অনেক সময় বাস কাউন্টারের লোকজনের কাছে টিকিট থাকে। বেশি দাম পেলে তারা বিক্রি করেন। নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে টিকিট দেওয়া শুরুর কারণে ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।

নাবিল পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার আগাম টিকিট প্রত্যাশী যাত্রীদের বলেছেন, গত সাত দিনে সব টিকিট রিজার্ভ হয়ে গেছে। যারা রিজার্ভ করে রেখেছেন তারা যদি না নেন তাহলে দুই দিন পরে এসে যোগাযোগ করে টিকিট নিয়ে যাবেন। তবে ভিন্ন চিত্র সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের। সেখানে নেই আগাম টিকিট সংগ্রহের ভিড়। সাধারণত সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোতে অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রয়োজন হয় না। পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে পর্যাপ্ত গাড়ি থাকায় সেখানকার কাউন্টারে সব সময়ই টিকিট পাওয়া যায়। জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে রাজশাহীর ভাড়া ৫০০ টাকার পরিবর্তে নেওয়া হচ্ছে ৫৬০ টাকা। আবার দিনাজপুরের ভাড়া নাবিল পরিবহনে ৬০০ টাকার পরিবর্তে নেওয়া হচ্ছে ৮০০ টাকা। হানিফ পরিবহনে নেওয়া হচ্ছে ৭০০ টাকা করে। অনেক কাউন্টারে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগাম টিকিট বিক্রি সম্পর্কে নাবিল পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার আনিছুর রহমান আনিছ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের এখানে আগাম টিকিট পাওয়ার জন্য স্থানীয় থানা পুলিশ, সরকারদলীয় বিভিন্ন লোকজন, ধর্ম মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দুদকের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ধরনের চাপ আছে। এরপরও আমরা সাধারণ ঘরমুখো মানুষকে আগাম টিকিট দেওয়ার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, ৩০ জুন এবং ৪ জুলাইয়ের টিকিট একটু সংকট আছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর