মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

বন্ড সুবিধার অপব্যবহার ৩ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বন্ড সুবিধার অপব্যবহার ৩ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি

শুল্কমুক্ত বন্ডেড ওয়্যার হাউস সুবিধার অপব্যবহার করে আমদানি করা কাগজ খোলা বাজারে বিক্রি করে ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের মেসার্স  ফিউচার এক্সেসরিজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি বন্ড সুবিধার আওতায় বিনা শুল্কে কাঁচামাল আমদানি করে তা উৎপাদনে ব্যবহার না করে খোলা বাজারে বিক্রয় করে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই প্রতিষ্ঠানটির কারখানা ও  ওয়্যারহাউস পরিদর্শন করে এ সংক্রান্ত ব্যাপক গরমিল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির ফ্যাক্টরিতে বর্তমানে ৯ সেট মেশিনের প্রকৃত বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৬০ শতাংশ হিসাবে ৩ হাজার ৪৬৩ টন। কিন্তু ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের অনুমোদন আছে ৫ হাজার ৭৬০ টন ডুপ্লেক্স বোর্ড এবং আটকার্ড। বাকি ২ হাজার ২৯৬ টন কাঁচামাল অতিরিক্ত পাওয়া যায়। এই অতিরিক্ত কাগজ পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি করা হয়েছে বলে তদন্তে বের হয়েছে। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির আমদানি করা ৪২৬ টন আর্টকার্ড ও ডুপ্লেক্সবোর্ড বন্ড রেজিস্টারে এন্ট্রি না করে খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। একই সঙ্গে গত ৬ এপ্রিল বেনাপোল কাস্টমস হাউসে আমদানি করা ১০০ টন ডুপ্লেক্স বোর্ড খালাসের অপেক্ষায় পাওয়া যায়। এই কাঁচামাল খোলা বাজারে বিক্রি হওয়ার ঝুঁকি ছিল। তাই তা বেনাপোল থেকে খালাস বন্ধ রাখা হয়েছে।

জয়েন্ট স্টক কোম্পানির তথ্যমতে, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরমান উদ্দিন এবং চেয়ারম্যান ফারজানা আক্তার। কিন্তু দুটি বন্ড লাইসেন্সের একটিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরমান উদ্দিন এবং অন্যটিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাক আহম্মেদ উল্লেখ্য রয়েছে। তবে উভয় লাইসেন্সে চেয়ারম্যান ফারজানা আক্তার। জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ও বন্ড লাইসেন্সে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মধ্যে গরমিল থাকায় প্রতিষ্ঠানটি তথ্য গোপন করে অসৎ উদ্দেশ্যে এই জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে বলে তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। এটি কাস্টমস আইনে অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য। প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা সংক্রান্ত জালিয়াতির কারণে শুল্ক আইনের অপরাধ হওয়ায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট মামলা করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর