শিরোনাম
বুধবার, ২২ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা
অন্যরকম

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ হাকালুকি হাওরে

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ হাকালুকি হাওরে

এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকি। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এই হাকালুকি। দেশীয় মাছের আধারও বলা হয় এই হাওরকে। কিন্তু এই হাওরে যদি বাঙালিদের প্রিয় মাছ ইলিশ যদি ঝাঁকে ঝাঁকে পাওয়া যায় তাহলে কেমন হয়। সত্যিই এই ঘটনাই ঘটছে হাকালুকি হাওরে। বর্ষা মৌসুমে প্রতি বছর দু-একটা ইলিশের দেখা মেলে এ জলাধারে। তবে এবার বর্ষার শুরুতে ধরা পড়ছে অনেক অনেক ইলিশ। গত কয়েকদিন ধরে জেলেদের জালে ধরা পড়তে শুরু করেছে নোনা পানির এ মাছটি।  হাকালুকি হাওরে ইলিশ মাছ ধরা পড়া প্রসঙ্গে মৌলভীবাজার জেলার মত্স্য কর্মকর্তা শফিকুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত খালগুলো দিয়ে হাকালুকি হাওরে ঢুকছে এই ইলিশ। তবে মাছগুলো আকারে ছোট হয়, স্বাদও পদ্মার ইলিশের মতো নয়। তিনি জানান, হাওরে ঢুকে পড়া ইলিশ তাদের খাদ্যাভ্যাস মতো খাবার না পেয়ে বেড়ে উঠতে পারে না। খাবারের অভাবে একসময় মাছগুলো মারা যায়। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়— কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে হাকালুকি হাওরের বেশ কয়েকটি সংযুক্ত খাল রয়েছে। বর্ষায় খালগুলো পানিতে ভরে উঠলে কুশিয়ারা নদী থেকে প্রচুর মাছ হাওরে ঢুকে। প্রতিবছর হাওরে জেলেদের জালে মাঝে মধ্যে ইলিশ ধরা পড়ে থাকে। কিন্তু এ বছর বর্ষার শুরুতেই জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। জেলেরা জানান, জালে ধরা পড়া বেশিরভাগ ইলিশের ওজন ২০০-৫০০ গ্রাম। সর্বোচ্চ ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশও ধরা পড়েছে। হাওর থেকে ধরা পড়া ইলিশ বাজারে অন্য ইলিশের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয় বলে জানান তারা। ভারতের বরাক নদী সিলেটের জকিগঞ্জের আমলশীদ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে সুরমা ও কুশিয়ারা নাম ধারণ করে প্রবেশ করেছে। কুশিয়ারা নদীটি পদ্মার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। আগাম বন্যা বা পাহাড়ি ঢল নামলে হাকালুকি হাওরের পানি কুশিয়ারা নদী দিয়ে পদ্মায় গিয়ে নামে। ফলে ইলিশ মাছ প্রজননের জন্য স্রোতের বিপরীতে আসতে থাকে। একসময় তারা হাকালুকি হাওরে ঢুকে পড়ে। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সাল থেকে হাকালুকি হাওরে বর্ষাকালে জেলেদের জালে ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। তবে এবার আগাম বন্যার কারণে অন্য বছরের তুলনায় বেশি পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে।

সর্বশেষ খবর