রবিবার, ২৬ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

যাত্রা শুরু বাংলার টাইটানিকের

নিজস্ব প্রতিবেদক

যাত্রা শুরু বাংলার টাইটানিকের

ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে চলাচলরত যাত্রীদের জন্য উদ্বোধন করা হলো ডিজিটাল নেভিগেশন ইকুইপমেন্ট সিস্টেমের অত্যাধুনিক লঞ্চ সুন্দরবন-১০। গতকাল সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ফিতা কেটে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, তালুকদার মো. ইউনুছ এমপি, জেবুন্নেছা আফরোজ এমপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন শেষে লঞ্চটি আনুষ্ঠানিকভাবে নদীতে চালানো হয় প্রায় ২০ কিলোমিটার। সদরঘাট থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা হয়ে আবার সদরঘাট টার্মিনালে এসে ভেড়ে। ডিজিটাল নেভিগেশন ইকুইপমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে লঞ্চটি পরিচালনা করা হবে। সুইসিংয়ের মাধ্যমে পুরো লঞ্চটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে লঞ্চটি খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরা ও ইকো সাউন্ডার (পানির গভীরতা মাপার যন্ত্র) সংযুক্ত করা হয়েছে। লঞ্চটিতে প্রায় ১৩০০ যাত্রী বহন করা যাবে। এর যাত্রীধারণক্ষমতা ১৪০০।

লঞ্চটিতে রয়েছে ডুপ্লেক্স কেবিন, ফুডকোর্টসহ আধুনিক নানান প্রযুক্তির ছোঁয়া। এই প্রথম কোনো লঞ্চে যুক্ত হলো লিফট ও সিসিইউ ইউনিটের সুবিধা। লঞ্চের নিচতলায় অগ্রভাগে হূদরোগীদের জন্য এক শয্যার সিসিইউ ও সিসিইউ ইউনিট রয়েছে। যেখানে অক্সিজেনের পাশাপাশি চিকিৎসক ও সেবিকার সহায়তা পাওয়া যাবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় রয়েছে প্রথম শ্রেণির জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সিঙ্গেল ও ডাবল মিলিয়ে ২৪০টি কেবিন। লঞ্চের সিঁড়ি এমনভাবে নির্মিত যে নিচতলা থেকে সরাসরি দ্বিতীয় বা তৃতীয় তলায় যাওয়া যাবে। রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ৪০টি সোফা ও ১২টি কমনবাথ রুম। ভিআইপি কেবিন ছাড়াও রয়েছে ৬টি বিশেষ ভিআইপি কেবিন; যার প্রতিটি কক্ষের সঙ্গেই রয়েছে আলাদা বাথরুম, বারান্দা, এসির ব্যবস্থা। এর প্রতিটিই আলাদা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। ভিআইপি কেবিনগুলোর নাম একাত্তর, অমর একুশেসহ সংগ্রাম, ইতিহাস-ঐতিহ্যসংশ্লিষ্ট।

সর্বশেষ খবর