সোমবার, ২৭ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

এক আঙিনায় সব কেনাকাটা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

এক আঙিনায় সব কেনাকাটা

চট্টগ্রামের রেয়াজুদ্দিন বাজার। ১২২ বছর ধরে চট্টগ্রামসহ সারা দেশের মানুষের সামগ্রিক বিকিকিনির আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক। বৃহত্তম এ বাজারের আছে বহুমুখী বৈশিষ্ট্য। কেবল দেশ নয়, বিভিন্ন দেশেও যায় এ বাজারের পণ্য। উপরন্তু এক আঙিনায় সম্পন্ন করা যায় পূর্ণাঙ্গ ঈদবাজার। নিম্নমধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ভরসা ঐতিহ্যবাহী এ বাণিজ্য কেন্দ্র। রেয়াজুদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতি সূত্রে জানা যায়, বিশাল আয়তনের এ বাজারে আছে প্রায় ২০০ মার্কেট। এসব মার্কেটে আছে ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার দোকান। আছেন প্রায় ২৫ হাজার কর্মচারী। বাজারের প্রায় ৫ হাজার দোকানে ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন বিকিকিনি হয় ৫০ থেকে ৭০ কোটি টাকার। এ বাজারে একাধারে ১০টি মুখ দিয়ে প্রবেশ করা যায়। একই সঙ্গে এবার ঈদে ক্রেতাসাধারণের কেনাকাটার সুবিধার্থে নেওয়া নানা উদ্যোগের মধ্যে আছে— বাজারের প্রতিটি গলির ওপর ত্রিপলের ব্যবস্থা, নিরাপত্তার জন্য দুই শিফটে সিএমপির ১৪ জন পুলিশ, আছে নিজস্ব উদ্যোগে ২২ জন কমিউনিটি পুলিশ; প্রধান দুই প্রবেশমুখ জুবিলী রোড ও স্টেশন রোডে ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা। সঙ্গে সর্বক্ষণ আলো দিচ্ছে জেনারেটর। রেয়াজুদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রামের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী মার্কেট রেয়াজুদ্দিন বাজার। এখানে ঈদের সকল প্রকার পণ্যের সমাহার রয়েছে। এটি রেয়াজুদ্দিন বাজারের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তিনি বলেন, শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় এখানে সব প্রান্তের মানুষের যাতায়াত সুবিধা আছে। পক্ষান্তরে এখানকার মার্কেটের মালিক-কর্মচারীদের বিশেষভাবে বলা

আছে, তারা যাতে কোনো ক্রেতার সঙ্গে দুর্ব্যবহার কিংবা অতিরিক্ত মুনাফা না করেন। মার্কেটে ক্রয়-বিক্রয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি নগরীর সব মার্কেটে দৈনিক যত ক্রেতা আসেন, রেয়াজুদ্দিন বাজারে এককভাবে সেইসংখ্যক ক্রেতা আসেন। এ হিসাবে দৈনিক ৫০ থেকে ৭০ কোটি টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা হয় এ মার্কেটে। এটি এ বাজারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ঈদের সকল প্রকার পণ্য। আছে রেডিমেড ও সেলাই করা কাপড়। বর্ণিল পোশাকের মধ্যে আছে শাড়ি, থ্রি পিস, ছোটদের পোশাক, শার্ট, প্যান্ট, জুতা, পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, প্রসাধনী সামগ্রী, নানারকম আসবাবপত্র, সুই-সুতা, ঝাড়ু, জুয়েলারি পণ্য— বলা যায় কী নেই এ বাজারে? ছোট থেকে বড়দের পোশাক, তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরী, আবালবৃদ্ধবনিতা— সব বয়সের সব ধরনের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে রেয়াজুদ্দিন বাজারে। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমন্বয়ে, নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন পোশাকের কোনো কমতি নেই এখানে। কোনো ক্রেতাকে এই বাজার থেকে কোনো পণ্যের জন্য খালি হাতে ফিরতে হয় না। এটিই এ বাজারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এবার ঈদের বাজারে ভর করেছে ভারতীয় ও দেশি পাথরের কাজ করা শাড়ি। বাহারি কাতান শাড়ির সঙ্গে রূপ ছড়াচ্ছে লেহেঙ্গা, রাজশাহী সিল্ক, জামদানি শাড়ি। দোকানের সামনে শোভা পাচ্ছে নায়িকাদের নামে বর্ণিল ডিজাইনের জামা।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর