রাজধানীর নিউমার্কেট ও নবাবগঞ্জ মার্কেটে হরেক রকম দামে বিক্রি হচ্ছে জাকাতের কাপড়। এ দুটি মার্কেটে প্রায় ১০ প্রকার জাকাতের কাপড় ও ৬ প্রকার লুঙ্গি বিক্রি হচ্ছে।
এসব কাপড়ের মধ্যে রয়েছে দেশি সুতিপ্রিন্ট, টাঙ্গাইল শাড়ি, প্রাইড শাড়ি, শাহ প্রিন্ট শাড়ি, আমানত শাড়ি, সুবর্ণা প্রাইড শাড়ি, এস পি প্রিন্ট প্রিন্ট শাড়ি ও আনন্দ প্রাইড শাড়ি। আর লুঙ্গির মধ্যে রয়েছে অপূর্ব লুঙ্গি, কর্নেল লুঙ্গি, রাজধানী লুঙ্গি, এটিএম লুঙ্গি, পাবনা লুঙ্গি ও সেভেন আপ লুঙ্গি। গতকাল রাজধানীর নিউমার্কেট ও নবাবগঞ্জ এলাকা ঘুরে দেখো গেছে, জামদানি স্টোর নামক দোকানে দেশি সুতি প্রিন্ট শাড়ি ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকায় এবং টাঙ্গাইল শাড়ি ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জেনিকায় প্রতি পিস প্রাইড শাড়ি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নিউমার্কেটের মোকাদ্দেছে প্রাইড শাড়ি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নবাবগঞ্জের হাসান ক্লথ স্টোরে প্রতি পিস প্রাইড শাড়ি ৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমানত শাহ প্রিন্ট শাড়ি ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নবাবগঞ্জের জাফর ক্লথ স্টোরে সুবর্ণ প্রাইড শাড়ি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসপি প্লাস শাড়ি ৩২০ টাকা ও নুরি প্রিন্ট শাড়ি ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নবাবগঞ্জের বিক্রমপুর বস্ত্রবিতানে মণিহার শাড়ি ২০০ টাকা ও নুরি প্রিন্ট ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর অপূর্ব লুঙ্গি ২৫০ টাকা, কর্নেল লুঙ্গি ৩০০ টাকা, রাজধানী লুঙ্গি ২৫০ টাকা, এটিএম লুঙ্গি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমেনা ফ্যাশনে সুখি প্রিন্ট শাড়ি ৩০০ টাকা ও নুরি প্রিন্ট শাড়ি ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাবনা লুঙ্গি ২৫০, সেভেন আপ লুঙ্গি ২৫০ ও এটিএম লুঙ্গি ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলেকচান স্টোরে সুখি প্রিন্ট শাড়ি ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মণিহার স্টোরে নুরি প্রিন্ট ২৫০, অপূর্ব লুঙ্গি ২৫০ টাকা, কর্নেল লুঙ্গি ৩০০ টাকা, রাজধানী লুঙ্গি ২৫০ টাকা, এটিএম লুঙ্গি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজধানী ক্লথ স্টোরে আনন্দ প্রাইড শাড়ি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমেনা ফ্যাশন স্টোরে সুখি প্রিন্ট শাড়ি ৩০০, নুরি প্রিন্ট ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাবনা লুঙ্গি ২৫০, সেভেন আপ ২৫০ ও এটিএম লুঙ্গি ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া রাজধানীর ইসলামপুরে বিভিন্ন দোকানে যাকাতের শাড়ি ও লুঙ্গি বিক্রি হচ্ছে। দোকানিরা বলেন, প্রতিটি দোকানেই বিক্রি জমে উঠেছে। তবে ২৫ রোজার পর থেকে বেচাকেনা আরও বাড়বে। নান্নু মিয়া নামে এক মুসল্লি গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিত্তশালীরা শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ না করে কিছু নামাজি, অভাবী, গরিব-দুখীদের মধ্যে আর্থিক সাহায্য করলে রাষ্ট্রে অভাবী বা গরিব লোকের সংখ্যা কমতো। একটি শাড়ি বা লুঙ্গি একটি মানুষকে সাময়িকভাবে খুশি করতে পারে, কিন্তু তাতে দীর্ঘমেয়াদি সুফল পাওয়া যায় না। তিনি জানান, গরিবের মধ্যে জাকাত দেওয়া প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। দীর্ঘদিনের প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী ধনীরা গরিব ও অসহায় মানুষের মধ্যে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করে থাকেন।