মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা
বন্দুকযুদ্ধে ফাহিম নিহত

বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাদারীপুরে কলেজ শিক্ষকের ওপর হামলার সময় আটক কলেজছাত্র গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিম পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে সরকারকে আইনি নোটিস দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলী। গতকাল ডাকযোগে এ নোটিস পাঠানো হয়। ফাহিম বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে নাকি প্রকৃত ঘটনা ও দোষীদের নাম আড়াল রাখার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে তা উদঘাটনে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি কেন গঠন করা হবে না? কেন উক্ত ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের দায়িত্বে অবহেলার দায়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা লিখিত আকারে জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়। নোটিসে বলা হয়, মাদারীপুর সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীর ওপর হামলার ঘটনায় ১৭ জুন ফাহিমকে ১০ দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে থাকা অবস্থায়ই ১৮ জুন পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সে নিহত হয়। পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় রিমান্ডের আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনা দেশ ও জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক এবং আইনের শাসনের পরিপন্থী। রিমান্ডে থাকা আসামিকে নিয়ে অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে পুলিশ সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে হয়। অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কেন আসামির পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান করেনি তাও প্রশ্নবিদ্ধ। বন্দুকযুদ্ধে আসামি নিহত হলেও অভিযানে কোনো দুষ্কৃতকারী দুর্বৃত্ত বা পুলিশ সদস্য সরাসরি আহত বা নিহত হয়নি। তা ছাড়া এলাকাবাসী গোলাগুলির আওয়াজ শোনেনি বা কাউকে পালাতে দেখেনি বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নোটিসে বলা হয়, রিমান্ডে থাকা ফাহিম বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনায় নাটকীয়তা ও রহস্য রয়েছে। পুলিশের হেফাজতে রিমান্ডে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘন, দেশের প্রচলিত ফৌজদারি আইন, হেফাজত আইন ও উচ্চ আদালত কর্তৃক রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ-সংক্রান্ত গাইড লাইন ও আদেশের পরিপন্থী।

সর্বশেষ খবর