হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চাঞ্চল্যকর চার শিশু হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত। গতকাল দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কিরণ শংকর হালদার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এ সময় কারাগারে থাকা পাঁচ আসামির জামিন নামঞ্জুর এবং পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ ছাড়া পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত জামিনে থাকা সালেহ আহমদ ও তার ভাই বশির আহমদকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আগামী ২৫ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে আদালত। বুধবার নির্ধারিত তারিখে কারাগারে থাকা আসামি আবদুল আলী ওরফে বাগাল, তার ছেলে রুবেল মিয়া ও জুয়েল মিয়া, হাবিবুর রহমান আরজু এবং সাহেদ আলী ওরফে সায়েদকে আদালতে হাজির করা হয়। হবিগঞ্জের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম জানান, বিভিন্ন কারণে অভিযোগপত্র গ্রহণ করতে বিলম্ব হলেও এখন তা গ্রহণ করায় বিচারের কার্যক্রম শুরু হতে খুব বেশি সময় লাগবে না। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতার করতে না পারলে মাল ক্রোকের আদেশ হবে। এর পরই মামলার চার্জগঠন করে বিচার শুরু হবে। প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশু নিখোঁজ হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি বাড়ির পাশে বালুমাটিতে পোঁতা অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৪ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকতাদির হোসেন নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তন্মধ্যে বাচ্চু মিয়া নামে একজন র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এ মামলায় পাঁচজন কারাগারে রয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামে জাকারিয়া শুভ (৮), তার চাচাতো ভাই মনির মিয়া (৭), তাজেল মিয়া (১০) ও ইসমাইল হোসেন (১০) গত ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রামের পার্শ্ববর্তী মাঠে খেলা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ১৭ ফেব্রুয়ারি বাড়ির অদূরে বালিমাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গত ৫ এপ্রিল হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন ওসি মুক্তাদির হোসেন এ ঘটনায় নয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তন্মধ্যে বাচ্চু মিয়া নামে একজন র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এ মামলায় পাঁচজন কারাগারে রয়েছেন।