বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা
জামাল মুসার সংগ্রাম সমর্থন

সনুকে ভারতীয় হাইকমিশনের জিম্মায় দিল আদালত

বরগুনা প্রতিনিধি

সনুকে ভারতীয় হাইকমিশনের জিম্মায় দিল আদালত

ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে পাচার হয়ে বরগুনায় আসা শিশু সনুকে ভারতীয় হাইকমিশনের জিম্মায় দিয়েছে আদালত। গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টায় বরগুনা শিশু আদালতের বিচারক ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুহা. আবু তাহের শিশুটির মানবিক বিষয় বিবেচনা করে এবং ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় কোনো জামানত ছাড়াই সনুকে ভারতীয় হাইকমিশনের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষে প্রথম সচিব রমাকান্ত গুপ্তা রবিবার বরগুনা শিশু আদালতে সনুকে তার বাবা-মায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাদের নিযুক্ত আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকমিশনের জিম্মায় নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের শুনানির পর বিচারক প্রথমে ৫ লাখ টাকা জামানতে সনুকে ভারতীয় হাইকমিশনের জিম্মায় দেওয়ার আদেশ দেন। এতে এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব জামানত দিয়ে সনুকে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানান। তিনি আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে বিচারক জামানতের অর্থ ১ লাখ টাকা নির্ধারণ করেন। এতেও আপত্তি জানালে বিচারক জামানত ছাড়াই জিম্মায় দেওয়ার আদেশ দেন। এদিকে নিজের দেশে ফেরার আনন্দে উচ্ছ্বসিত শিশু সনু বলে, ‘আমি আমার বাপ-মায়ের কাছে ফিরে যেতে পারব। এতে যে আমার কী আনন্দ হচ্ছে তা বলে বোঝানো যাবে না।’ অন্যদিকে সনুর আনন্দে আনন্দিত বাংলাদেশের ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ খ্যাত সনুর উদ্ধারকারী জামাল ইবনে মুসা। তিনি বলেন, ‘আজ আমার সংগ্রাম সার্থক হলো। সনু শিগগিরই তার বাবা-মাকে ফিরে পাবে, এতেই আমার পরম আনন্দ।’ উল্লেখ্য, ভারতের রাজধানী দিল্লির নিউ সীমাপুর যুগ্গি এলাকার বাসিন্দা মাহমুদ ও মাধুরী মমতাজের ছেলে সনুকে ২০১০ সালের ২৩ মে অপহরণ করা হয়। সনুকে দিল্লি থেকে অপহরণ করে রহিমা বেগম ও আকলিমা বেগম নামে দুই বোন বাংলাদেশের বরগুনার বেতাগী উপজেলার গেরামর্দন গ্রামে নিয়ে আসেন। রহিমারা সাত বোন। তাদের কয়েকজন দিল্লিতে বাস করেন। তাদের বিরুদ্ধে শিশু পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

সর্বশেষ খবর