বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

উৎসে কর কমিয়ে অর্থ বিল ২০১৬ পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যমান কর ও শুল্ক হারে কিছু পরিবর্তন এনে জাতীয় সংসদে গতকাল ‘অর্থ বিল-২০১৬’ সংশোধিত আকারে কণ্ঠভোটে পাস হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার সমাপনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশগুলো গ্রহণ করে ‘সরকারের আর্থিক প্রস্তাবলি কার্যকরণ এবং কতিপয় আইন সংশোধনে আনীত অর্থ বিল-২০১৬ সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। ২ জুন বাজেট অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করা হয়েছিল। বাজেট ঘোষণার সময় উত্থাপিত অর্থ বিলে তৈরি পোশাকসহ সব ধরনের পণ্যে রপ্তানি মূল্যের ওপর ১ দশমিক ৫ শতাংশ উেস কর আদায়ের যে প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী করেছিলেন, সংশোধিত অর্থ বিলে তা কমিয়ে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এ ছাড়া করদাতার ২০ শতাংশ বিনিয়োগের ওপর ১০ শতাংশ কর রেয়াতের যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, সে সুবিধা কিছুটা বাড়িয়ে অর্থ বিলে ২৫ শতাংশ বিনিয়োগের ওপর আয় ভেদে ১০, ১২ ও ১৫ শতাংশ কর রেয়াত সুবিধা দেওয়া হয়। তথ্য-প্রযুক্তি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট পুরোপুরি অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল ও রসুনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান শুল্ক অব্যাহতির রেয়াত আগামী বছরও কার্যকর রাখা হয়েছে। মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক সুবিধার প্রসার, পোলট্রি খাতের পণ্যে রেয়াত সুবিধা, জীবন রক্ষাকারী ওষুধে শুল্ক প্রত্যাহারসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে সংশোধিত অর্থ বিলে। প্রথমে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে গতকাল সকালে বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। পরে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় কয়েকটি প্রস্তাবে সংশোধনী আনতে বলেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার নিজের দেওয়া বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তৃতা শেষে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি প্রস্তাব করেছেন। তার এই প্রস্তাবকে আমি অনুশাসন মনে করি, কারণ আমি তার হয়েই কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু বলেছেন, তার সব প্রস্তাবই গ্রহণ হয়ে গেছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। এর আগে বিলের ওপর সরকারি দলের হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার, গোলাম দস্তগীর গাজী, মো. শাহাবুদ্দিন, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, ফখরুল ইমাম, নুরুল ইসলাম মিলন, মো. নুরুল ইসলাম ওমর, বেগম নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী, মো. মামুনুর রশীদ, স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বিলের ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনীর প্রস্তাব আনেন। এর মধ্যে ১৮টি সংশোধনী গ্রহণ করে জাতীয় সংসদ বাকিগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পাস হওয়া বিলটি ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর করার বিধান করা হয়েছে। আজ বাজেট পাস : আজ বৃহস্পতিবার ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাস হবে। আগামী ১ জুলাই নতুন অর্থবছরের শুরুতে এই বাজেট কার্যকর হবে। গত ২ জুন সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার এই বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।

সর্বশেষ খবর