শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

রংপুরে জোড়া খুনে ১০ ডাকাতের ফাঁসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে জোড়া খুন মামলায় ১০ ডাকাতকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। একই আদালত ট্রাক ভর্তি চাল ডাকাতি মামলায় ওই ১০ ডাকাতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।

গতকাল দুপুরে এই রায় প্রদান করা হয়। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন মানিক সরকার, অহিদুল হক, নজরুল ইসলাম, চান্দু মৃধা, আবুল হোসেন, শাহিন মিয়া, আবুল বাসার, বসির উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ও সোবহান শিকদার। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অতিরিক্ত পিপি) ফারুক মোহাম্মদ রেয়াজুল করীম জানান, দণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্য। দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের বাড়ি। বয়স ৩০-৪০ বছর। রায় ঘোষণার সময় মানিক সরকার, চান্দু মৃধা ও সোবহান শিকদার আদালতে হাজির থাকলেও অন্য আসামিরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও থেকে ২২০ বস্তা চাল ট্রাকে নিয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে ২০০৬ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টায় রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের বরাতি সেতুর কাছে ডাকাতদলের কবলে পড়েন চালক পরেশ চন্দ্র (৪০) ও তার সহযোগী সন্তোষ কুমার (২৮)। ডাকাতরা খালি ট্রাক দিয়ে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পরে চাল ভর্তি ট্রাকের চালক ও সহকারীকে খালি ট্রাকে তুলে নেয়। ডাকাতরা দুটি ট্রাক চালিয়ে দিনাজপুর যাওয়ার পথে রাত ১১টার সময় রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকায় পুলিশের কবলে পড়ে। ডাকাতরা দ্রুত পালানোর চেষ্টা করলে খালি ট্রাকটি একটি রিকশাভ্যানকে ধাক্কা দিলে সড়কের পাশে উল্টে যায়। এতে রিকশাভ্যান চালক মনোরঞ্জর রায় ও ট্রাকচালক পরেশ চন্দ্র গুরুতর আহত হন। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুজনের মৃত্যু হয়। চাল ভর্তি ট্রাকটি ফেলে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন ডাকাত মানিক সরকার, চান্দু মৃধা ও সোবহান শিকদারকে আটক করে। ওই রাতেই বদরগঞ্জ থানায় চাল ভর্তি ট্রাকের সহকারী সন্তোষ কুমার বাদী হয়ে হত্যা মামলা এবং চালের মালিক হারাধন চন্দ্র বাদী হয়ে ডাকাতি মামলা করেন।

 ১০ ডাকাতকে দুটি মামলায় আসামি করা হয়। দুটি মামলারই তদন্ত কর্মকর্তা বদরগঞ্জ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ২০০৭ সালের ৩ মে ১০ ডাকাতের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

সর্বশেষ খবর