শনিবার, ২ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

বসুন্ধরায় উপচে পড়া ভিড়

মোস্তফা মতিহার

বসুন্ধরায় উপচে পড়া ভিড়

বসুন্ধরা সিটিতে গতকাল ছিল উপচেপড়া ভিড় —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঈদের ছুটি গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। ঈদের আগের শেষ শুক্রবার গতকাল দেশসেরা আন্তর্জাতিক মানের শপিং মল বসুন্ধরা সিটিতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, স্টিচ ও আনস্টিচ থ্রি-পিস, জুয়েলারি, কসমেটিক্স, ইলেকট্রনিক্স আইটেম, টেইলারিং, ঘড়ি, মোবাইল, বাচ্চাদের ড্রেসসহ সব কিছুই এক মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে বলে ক্রেতারা মনের আনন্দে বিভিন্ন ফ্লোরের নির্দিষ্ট দোকানে ঘুরে ঘুরে কিনেছেন তাদের পছন্দের জিনিসগুলো। গুণগতমানের কারণে প্রিয়জনকে গিফট দিতে কিংবা পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও নিজের জন্য কেনাকাটায় বসুন্ধরা সিটিকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন রুচিশীল ক্রেতারা। ক্রেতাদের সন্তুষ্ট করতে বিক্রেতারা দম ফেলার ফুরসতটুকুও পাচ্ছেন না। ঈদ মানে যদি আনন্দ হয় তাহলে ক্রেতাদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি, কেনাকাটা ও বিক্রেতাদের সন্তুষ্টি দেখে এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়, ঈদের আগেই বসুন্ধরায় ঈদের আমেজ ফুটে উঠেছে। ছুটির দিনে গতকাল সকাল থেকেই মার্কেটটির সামনে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়ে হাঁফিয়ে উঠেছিলেন বিক্রেতা ও নিরাপত্তাকর্মীরা। সুশৃঙ্খল ও সারিবদ্ধভাবে সকাল থেকে রাত অবধি ক্রেতারা যাচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত দোকানে। এক দোকান থেকে আরেক দোকানে অবিরাম ছুটে চলার মধ্যেও বিন্দুমাত্র ক্লান্তির রেষ লক্ষ্য করা যায়নি ক্রেতাদের মাঝে। কেনাকাটার ভিড়ে অনেক ক্রেতা মার্কেটের বিভিন্ন ফ্লোরের লবিতেই সারছিলেন ইফতারের কাজটি। এ যেন নতুন এক চাওয়া-পাওয়া। দামকে প্রাধান্য না দিয়ে পছন্দ ও মানকে প্রাধান্য দিয়েই ক্রেতারা পছন্দের পণ্যটি কিনে বাড়ি ফিরেছেন। গতকাল ছুটির দিনের শেষ শুক্রবার আন্তর্জাতিক মানের জুতা কোম্পানি বাটার দোকানে লাইন ধরে পছন্দের জুতাটি কিনছিলেন ক্রেতারা। এর আগের শুক্রবার বসুন্ধরা সিটির এই বাটার দোকানে প্রায় ৪৫ লাখ টাকার জুতা বিক্রি হয়েছে বলে জানায় ওই দোকানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। আর গতকাল তাদের বিক্রির নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় কোটি টাকা। গতকাল সরেজমিন বাটার এই শোরুমে গিয়েও লক্ষ্য করা গেছে ৪৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রায় শতাধিক সেলসম্যান ফুরসত পাচ্ছিলেন না। এদিকে এবারের ঈদে দেশসেরা আন্তর্জাতিক মানের এই শপিং মলটি স্ক্র্যাচ কার্ড সিস্টেমের প্রবর্তন করে দেশের শপিংয়ের জগতে যুগান্তকারী ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন। মাত্র ৫০০ টাকার শপিংয়ের জন্য ক্রেতারা একটি স্ক্র্যাচ কার্ড পাচ্ছেন। আর এই স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষলেই সৌভাগ্যবানরা পেয়ে যাচ্ছেন ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড থেকে প্রাইভেট কার পর্যন্ত।

এ ছাড়া স্ক্র্যাচ কার্ডে আরও লোভনীয় বিভিন্ন পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে ডায়মন্ড সেট, মোটর বাইক, থাইল্যান্ড ট্যুর, ডিনার সেট, আয়রন মেশিন, হেয়ার ড্রায়ারসহ মোট ১৩২০০টি পুরস্কার। আর কার্ড ঘষে প্রতিদিনই ক্রেতারা পুরস্কার জিতে নিচ্ছেন। ক্রেতারা ইতিমধ্যে ৫০% এর বেশি গিফট জিতে নিয়েছেন বলে জানান বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট সংশ্লিষ্টরা। বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, গাড়ি, মোটরসাইকেল, ডায়মন্ড সেট, থাইল্যান্ড ট্যুরসহ ৯টি মেগা গিফট ঈদের পরে ২৭ জুলাই প্রদান করা হবে। এ ছাড়া ১৩১৯১টি পুরস্কার ঈদের আগেই প্রতিদিনের পুরস্কারের তালিকায় দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে একেবারেই নতুন স্ক্র্যাচ কার্ডের এই পদ্ধতিটি প্রবর্তনের কারণে দেশের সবশ্রেণির ক্রেতাই এখন বসুন্ধরায় ভিড় জমাচ্ছেন। ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় ও বিক্রেতাদের অবয়বে সফলতার ছাপ ও ঠোঁটের কোণে প্রশান্তির হাসিটুকুই বলে দিচ্ছে এবারের ঈদে শপিংয়ের জগতে বসুন্ধরা সিটি নাম্বার ওয়ান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর