শনিবার, ২ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

মরিচ চাষে ভাগ্য বদলেছে কৃষকের

আব্দুল লতিফ লিঠু, ঠাকুরগাঁও

মরিচ চাষে ভাগ্য বদলেছে কৃষকের

মরিচ চাষ করে ভাগ্য বদলেছে জেলার অনেক কৃষকের। মসলা জাতীয় অন্য যে কোনো ফসলের চেয়ে অল্প খরচে মরিচ চাষ করে কৃষক বেশি মুনাফা পাওয়ায় চাষিরা বেশ খুশি। চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হওয়ায় মরিচ চাষে আগ্রহ বাড়ছে এ অঞ্চলের কৃষকের। জেলার ৫ উপজেলার উত্পাদিত মরিচ ঠাকুরগাঁওয়ের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাজারজাত করে বিপুল অঙ্কের অর্থ উপার্জন করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় হাট জেলা সদর উপজেলার ভাউলার হাট। সপ্তাহে দুই দিন এ হাটে মরিচ ক্রয় করার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন ব্যবসায়ীরা। এখান থেকে ক্রয়ের পর বিভিন্ন জেলায় এ মরিচ পাঠানো হয়। সদর উপজেলার বরকতউল্লাহ্, সোবাহান ও আবদুর রহিমসহ মরিচ ব্যবসায়ীরা জানান, এ জেলার মরিচ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। এ মরিচের গুণগত মান খুবই ভালো। কৃষকরা দামও ভালো পাচ্ছে। মরিচ আবাদ করে অনেক কৃষকের ভাগ্য বদলেছে।

কৃষি সংশ্লিষ্টরা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি ৮০ থেকে ৯০ ভাগ পলি ও উর্বর দোআঁশ হওয়ায় মসলাজাতীয় যাবতীয় ফসল খুব ভালো জন্মে। ফলে অল্প খরচে মসলাজাতীয় ফসলগুলো ফলানো সম্ভব। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় উন্নতজাতের বীজ ও সারসহ রোগবালাইনাশক ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ। জেলার প্রায় সব এলাকায় কমবেশি মসলাজাতীয় ফসল চাষ হলেও সদর উপজেলার রায়পুর, নারগুন, জামালপুরে মরিচসহ যাবতীয় তরিতরকারি এবং সব প্রকার মসলাজাতীয় ফসল খুব ভালো জন্মে। সদর উপজেলার ভাওলারহাট গ্রামের কুদ্দুস আলী, মোবারক আলী, সামসউদ্দিনসহ মরিচ চাষিরা জানান, কয়েক বছর আগে যে জমিতে অন্য ফসল আবাদ করে ১০ হাজার টাকাও আয় করা যেত না, সে জমিতে বর্তমানে মরিচসহ অন্যান্য মসলাজাতীয় ফসল চাষ করে বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আর সময় লাগে ৩ থেকে ৪ মাস। পরিশ্রমও অনেক কম। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী জানান, চলতি মৌসুমে মরিচ আবাদ হয়েছে ৯০০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২০০ হেক্টর বেশি। কৃষক মরিচ আবাদ করে লাভবান বলেই আবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে পরামর্শের ঘাটতি থাকলে জানালে তা সমাধান করব। এ ছাড়া সার্বিকভাবে কৃষককে পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ।

সর্বশেষ খবর